মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

সিলেটের নান্দনিক বাস টার্মিনাল উদ্বোধনের অপেক্ষায়

এম এ মতিন সিলেট :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২

সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। এক সময় যে টার্মিনাল ছিলো ময়লার ও আবর্জনার ভাগাড় বর্ষায় পা ফেলাই ছিলো দায়। সেই টার্মিনাল টি ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্থাপত্য নিদর্শন হতে চলেছে। এ যেন বিশ্বের উন্নত কোনো দেশের টার্মিনাল। কারুকার্যময় লাল ইটের দেয়াল, ইট রঙের স্টিলের ছাউনি, গাছপালা আবৃত গ্রিন জোন, বিমানবন্দরের আদলে আলাদা প্রবেশ ও বহির্গমন পথ। যাত্রীদের জন্য প্রায় ১ হাজার ৫০০ সিটের বিশাল ওয়েটিং লাউঞ্জ। ইতোমধ্যে টার্মিনালটির কাজ শেষ হলেও উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে আগামী মাসে মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সিসিকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের এ আধুনিক বাস টার্মিনালে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। এমজিএসপি (মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট সার্ভিস প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় সিলেট সিটি করপোরেশন ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করেছে নতুন বাস টার্মিনাল কমপ্লেক্স। ৬ তলা ভিত্তির তিনতলা কমপ্লেক্স প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ডালি কনস্ট্রাকশন। পুরো টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৩টি অংশে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে বহির্গমন ভবনের দৈর্ঘ্য ৩৫০ ফুট। রয়েছে ৯৭০ সিটের যাত্রী বসার সুবিধাসম্পন্ন বিশাল হল। রয়েছে ৩০ সিটের ভিআইপি কক্ষ, ৩০টি টিকিট কাউন্টার ও ৫০ জন মুসল্লির ধারণ ক্ষমতার নামাজ কক্ষ। নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী পৃথক ৬টি টয়লেট জোন। সেখানে হুইল চেয়ার নিয়েও টয়লেট ব্যবহার করা যাবে। ওপরে ওঠার জন্য থাকবে লিফট, রেস্টুরেন্ট ও ফুড কোর্ট। থাকবে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়া যাত্রীর জন্য সিক বেড, শিশুদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং জোন। অ্যারাইভাল বিল্ডিং প্রায় ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের। ডিপারচার বিল্ডিংয়ের মতো এখানে আছে বাস বে, যাত্রীর বসার জন্য ৫১০ সিটের ওয়েটিং স্পেস ও ৩০ সিটের ভিআইপি কক্ষ, আধুনিক টয়লেট সুবিধা, সিক বেড, ব্রেস্ট ফিডিং জোন, লিফট, রেস্টুরেন্টসহ যাত্রীদের সব সুযোগ-সুবিধা। পার্ট-১ ও পার্ট-২-এর মাধ্যমে ডিপারচার ও এ্যারাইভাল আলাদা করা হলেও করিডরের মাধ্যমে পুরো স্ট্রাকচার একটি চক্রাকার ভবনে পরিণত হয়েছে। এ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্ণার সড়কের সঙ্গে সঙ্গে গোলাকার পাঁচতলা টাওয়ার ভবনে রয়েছে টার্মিনাল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা অফিস। যেখানে থাকবে পুরো টার্মিনালের সিকিউরিটি কন্ট্রোল ও সিসিটিভি মনিটরিং কক্ষ, পুলিশ কক্ষ এবং পর্যটন অফিস। টার্মিনালের পেছনের দিকে নির্মিত হয়েছে একটি মাল্টিপারপাস ওয়েলফেয়ার সেন্টার। যেখানে মালিক ও চালক সমিতির জন্য থাকবে ২৪ বেডের বিশ্রাম কক্ষ, গোসলের ব্যবস্থা, অফিস, লকার ব্যবস্থা, ক্যান্টিন এবং মিটিং ও অনুষ্ঠানের জন্য বিশাল মাল্টিপারপাস মিলনায়তন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত এ টার্মিনালের নকশা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের তিন শিক্ষক। তারা হলেন, সহকারী অধ্যাপক সুব্রত দাশ, রবিন দে ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। নকশাটিতে সিলেটের ঐতিহ্য আসাম টাইপ বাড়ি, চাঁদনী ঘাটের ঘড়ি বিবেচনা করে আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ডালি কনস্ট্রাকশনের সিনিয়র প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রকল্পের প্রতিটি কাজ অত্যন্ত যতœ সহকারে করা হচ্ছে। উপরের স্টিলের টিন তাইওয়ান থেকে এবং স্টিল স্ট্রাকচারের জন্য লোহার বার চায়না থেকে আনা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি জিনিস বুয়েটে টেস্ট করা হয়েছে। বিমানবন্দরের মতো বিশাল ওয়েটিং স্পেস রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দৃষ্টিনন্দন আধুনিক বাস টার্মিনাল দেশে প্রথম সিলেটেই নির্মিত হচ্ছে। এটি পরিচালনার জন্য নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এখানে পার্কিং এলাকা ছাড়া গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না, ইচ্ছামতো কাউন্টার বসানো যাবে না। এ টার্মিনাল আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটের সৌন্দর্য আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। মেয়র আরিফ বলেন, প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে টার্মিনালটি। দ্বিতল এই টার্মিনালের আগমন ও বহির্গমন অংশ আলাদা করা হলেও করিডোরের মাধ্যমে পুরো স্থাপনাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। থাকছে সিসিটিভি মনিটরিং কক্ষ, পুলিশ কক্ষ এবং পর্যটন অফিস।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com