করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৪৫৭ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৫৩৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জনে।
করোনাভাইরাস বিষয়ে বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৩০৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার দুইটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো নয় লাখ ৮০ হাজার ৪০২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৩৩ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জনে। ২৪ ঘণ্টা শনাক্তের আর ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯৬ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ পাঁচ হাজার ২৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ জন এবং নারী ৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৪০ জন পুরুষ এবং ৫১৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং নারী ২১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় যে ৩৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১০ বছরের নিচে একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন, ষাটোর্ধ্ব সাতজন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৩ জনের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, সাতজন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুইজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের এবং তিনজন রংপুর বিভাগের। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন এবং বাসায় ৮ জন।
এমআইপি/প্রিন্স