মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পরিত্যক্ত কলাগাছ থেকে সুতা তৈরি

আব্দুর রহমান (দামুড়হুদা) চুয়াডাঙ্গা
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামে কলাগাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে আঁশযুক্ত সুতা। দেশি প্রযুক্তিতে দুই বন্ধু মিলে বিদ্যুৎচালিত মেশিন দিয়ে এই সুতা প্রস্তুত শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে তৈরি সুতার মজুদ শুরু করছেন তরুণ এই দুই উদ্যোক্তা। একসময় গাছের কলা কেটে নেওয়ার পর গাছটি সেই স্থানেই পচে নষ্ট হতো অথবা গাছের মালিক ওই গাছ কেটে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে দিত। এখন সেই পরিত্যক্ত গাছ দিয়ে সুতা তৈরি করছেন দুই বন্ধু সাইফুল ইসলাম ও আবু সাঈদ। তারা দেশি প্রযুক্তিতে তৈরি মেশিন দিয়ে কলাগাছের খোলস ছাড়িয়ে এ সুতা তৈরি করছেন। তারা পরামর্শ করে বগুড়া থেকে এই মেশিন কিনে এনে পাটাচোরা গ্রামে বসান। সপ্তাহখানেক ধরে কলাগাছ দিয়ে সুতা তৈরি করছেন তারা। গ্রামের মাঠসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পরিত্যক্ত কলাগাছ সংগ্রহ করে প্রতিদিন ১৫-২০ কেজি করে সুতা তৈরি করছেন। কলাগাছের দুই দিকের অংশ কেটে ফেলে খোলস বের করে মেশিনে দিলে অপর দিক থেকে বের হয়ে আসছে আঁশযুক্ত সুতা। এই সুতা রোদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর তার রং সোনালি হয়ে যাচ্ছে। সাঈদ ও সাইফুল জানান, লাভের আশায় দুই বন্ধু মিলে বগুড়া থেকে মেশিন কিনে এনে সুতা তৈরি করা শুরু করেছি। তবে বাজারদর নিয়ে শঙ্কিত তারা। সুতার নির্দিষ্ট কোনো বাজারদর নেই। ক্রেতারা যে দাম বেঁধে দিচ্ছেন, সেই দামেই সুতা বিক্রি করতে হচ্ছে। তাদের বেঁধে দেওয়া দামে সামান্য লাভ হলেও টিকে থাকা কঠিন। তারা বলেন, কলাগাছের বর্জ্যগুলো জৈব সার হিসেবে ব্যবহারের জন্য আলাদা করে রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কলাগাছের পানিও বিক্রি হবে বলে সেগুলো আলাদা করে সংরক্ষণ করছি। বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, বিদেশি ক্রেতারা এই সুতা বাংলাদেশ থেকে কিনছে; কিন্তু এর ন্যায্য দাম কত আমরা জানতে পারছি না। বাজারদর ভালো পেলে আমরা মেশিন আরো একটি নিয়ে আসব। কলাগাছ দিয়ে তৈরীকৃত সুতার বাজারদর ঠিক করা, পরিত্যক্ত বর্জ্য জৈব সার হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করা। স্বল্পসুদে এসব তরুণ উদ্যোক্তাকে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে এটি গড়ে উঠবে। সেই সঙ্গে বিদেশে সুতা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com