পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার ১৫ কপাটের স্লুইসগেটটি সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। দির্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় পলেস্টার গুলো খসেপরে ভেঙ্গেগেছে অধিকাংশ দরজা। যে গুলো ভাঙ্গেনি সে গুলোও মরিচায় ধরে জরাজির্ণ হয়ে পরেছে। ভাঙ্গা ও নরবলে স্লুইসগেট দিয়ে পানি রোধ করা জায়না। বর্তমান সময়ে আমন ও ইরি মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ভুগছে প্রান্তিক কৃষকরা। অত্র এলাকার কৃষি কাজের স্বার্থে দূরত সংস্কারের দাবী কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের। এক অনুুসন্ধানে জান যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বা পা উ বো) ১৯৭২ খ্রিঃ পটুয়াখালী ভরসা তুল্লা চৌধুরীর ঠিকাদার মাধ্যমে ১৫ কপাট স্লুইসগেটটি নির্মাণ করা হয়। সর্বশেষ সি,আর,পি সংস্থার মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১৯৯৮খ্রিঃ স্লুইসগেটটি সংস্করণ করা হয়। স্লুইসগেটটি বোয়ালিয়া খালে নির্মিত। যা ৫৬০ একর জমির এরিয়া, প্রায় ১০ কিলোমিটারের অধিক দৈর্ঘ্য এবং গড় প্রস্থ প্রায় ৫০০ ফুট। এটি গলাচিপা, উলানিয়া, পানপট্টি, এবং রতনদি তালতলি ইউনিয়নের সংযোগ খাল। স্লুইসগেটি বোয়ালিয়া খালের মোহনা থেকে পশ্চিম পাশে নতুন একটি ছোট সংযোগ ছোট খালের মোহনায় নির্মান করা হয়। যা বর্তমানে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে আছে। এছাড়া দীর্ঘ বছর ধরে পানি উঠা নামার স্লুইসগেটটির ১৫ কপাট থাকলেও অবহেলায় অযত্নে লোহার কপাট গুলো ভেঙ্গে এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। স্লুইসগেটটি সংস্কারের দাবী করেন ভুক্তভোগী কৃষক, স্থানীয় মানুষ, ব্যবসায়ী মহল ও জনপ্রতিনিধিরা। ভুক্তভোগিরা জানান, কপাট গুলো ভেঙ্গে যাওয়া প্যাডেল না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিদের মাধ্যমে নিজেদের অর্থায়নে দরি কাচি দিয়ে কোন রকম পানি উঠানামার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এবিষয়ে স্থানী ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ কপাটের স্লুইসগেটটি এখন আমাদের মরণ ফাদেঁ পরিনিত হয়েছে। জরাজীর্ণ অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় দরি কাচি বাশঁ দিয়ে কোন রকম কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় কৃষকদের দাবী কৃষি আবাদযোগ্য গড়ে তোলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরজমিনে পরিদর্শন করে অতি দ্রুত স্লুইসগেটটি রক্ষানাবেক্ষন করে উপজেলার প্রায় চার লাখ জনসাধারণের সুনিশ্চিত পানির ব্যাবস্থা করে দেন। এ বিষয়ে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিভিন্ন উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্লুইসগেট গুলোর সংস্কার, পূর্ণনির্মাণ করা সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দের চাহিদার চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অর্থ বরাদ্দ হলে দ্রুত বোয়ালিয়া ১৫ কপাটের স্লুইসগেটটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।