রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি

স্পোর্টস ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : ১৯৭০ সালে পথচলা শুরু হয় ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের। ৫০ বছরের ইতিহাসে ৯ বার লিগ ওয়ান শিরোপার পাশাপাশি রেকর্ড গড়ে ডোমেস্টিকের নানা শিরোপা জিতলেও এ পর্যন্ত খেলা হয়নি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। মাঝে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে সেমিফাইনালে উঠলেও অধরাই থেকে গেল ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ লিগের ফাইনালে খেলা। ২০১১ সালে দলটির মালিকানা পরিবর্তন হয়। কাতারের মালিকানায় যাওয়ার পর যেন দলটির প্রথম টার্গেটই হয় ইউরোপের সেরা হওয়ার।

এরপর কয়েক মৌসুমে দাপটের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিলেও আর জায়গা করে নিতে পারেনি সেমিফাইনালেও। তবে এ মৌসুমে নিজেদেরকে ছাড়িয়ে গেল পিএসজি। দাপটের সঙ্গে সেমিফাইনালের বাধা পেরিয়ে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিলো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

আজকের সেমিফাইনালে জার্মানির ক্লাব আরবি লেইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে পিএসজি পৌঁছে গেল স্বপ্নের ফাইনালে। আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই প্রথমবারের মতো হয়ে যাবে ইউরোপ সেরা। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে অপর সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ ও অলিম্পিক লিওঁনের ম্যাচে জয়ী দল।

রাত একটায় লিসবনের মাঠে খেলার শুরু থেকেই আরবি লেইপজগকে আক্রমণে কোণঠাসা করে রাখে পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। তবে ৬ মিনিটে নেইমার মিস করলেও ১৩ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় মারকুইনস। ডি মারিয়ার সেট-পিস থেকে মারকুইনসের অসাধারণ হেডে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।

দলের দ্বিতীয় গোলটি আসে ব্রাজিল-আর্জেন্টাইন কম্বিনেশনে। ম্যাচের ৪২ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারক অ্যানহেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের লিড নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। তবে ম্যাচের ২৫ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত লেইপজিগ। কিন্তু ডেনিশ স্ট্রাইকার পুলসেনের শর্টটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এদিকে ৩৬ মিনিটে নেইমারের একটি ফ্রি-কিক গোলবারে লেগে ফিরে আসে।

দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ১১ মিনিটেই ফের গোল করে পিএসজি। জুয়ান বার্নাটের ট্যাপ ইন হেড থেকে ৩-০তে এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। অ্যাসিস্ট আসে ডি মারিরা পা থেকে। এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ হলেও আর গোল হয়নি। ৩-০ ব্যবধানে লেইপজিগকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি।

পুরো ম্যাচ পিএসজির নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ৫৭.৬ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল প্যারিসের দলটি। বিপরীতে লেইপজিগ ৪২.৪ শতাংশ। দুই দলই গোলমুখে সমান ১৪টি করে শট নিয়েছে। তবে চান্স তৈরিতে পিএসজি অনেক এগিয়ে রয়েছে।

বাবু/এমআইপি




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com