ঢাকার আশুলিয়ায় দীর্ঘদিনের চলাচলের একটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে কলোনী নির্মাণের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার বসবাসরত হাজারো মানুষ। বন্ধ রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবী জানিয়ে মানববন্ধন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বরাবরে বার বার গেলেও কোন সুফল মেলেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসি। এলাকাবাসি জানান, আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকায় কয়েক হাজার লোকের বসবাস। যার মধ্যে শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশী। টেঙ্গুরী কোনাপাড়া বাইপাস এই সড়কটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টেঙ্গুরী, জিরানী উত্তরপাড়া, কোনাপাড়াসহ অন্তত ৭টি গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন। এই সড়কটি দিয়ে ৪/৫ মিনিটেই কোনাপাড়া থেকে জিরানী বাজার, কবিরপুরসহ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে উঠা যেত। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী আতাউর গংরা ওই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছে। যার ফলে ওই স্থান দিয়ে কোন মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে কর্মস্থল সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে হাজারো মানুষকে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এরই মধ্যে ওই এলাকা থেকে অনেক ভাড়াটিয়া চলে যাচ্ছে। এতে আরো বিপাকে পড়েছে বাড়ির মালিকরা। রাস্তাটি খুলে দেওয়ার দাবী জানিয়ে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে গত ২৫ আগস্ট একটি মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এরপরেও এতদিন অতিবাহিত হলেও স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের কেই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। হাজারো মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন বলে দাবী জানান তারা। গোলাম মোস্তফা নামের এক স্থানীয় জানান, দীর্ঘদিনের চলাচলের এ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী আতাউর রহমান গংরা। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এ এলাকার হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি যেন পুনরায় চালু করে দেন সংশ্লীষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি। এব্যাপারে রাস্তার উপর ঘর নির্মাণকারী আতাউর রহমান জানান, আমরা রাস্তার উপরে কোন ঘর নির্মাণ করিনি। নিজেদের জমিতেই ঘর করেছি। এখান দিয়ে একসময় মানুষজন চলাচল করতো। কারণ সে সময় জমি ফাঁকা ছিল। এখন জমিতে ঘর করা হয়েছে। মানুষজন চলাচল করতে না পারলে আমার কিছুর করার নেই। আমিতো আমার জমিতেই ঘর করেছি। এছাড়াও তিনি জানান, রাস্তা নেওয়ার জন্য একটা পক্ষ পানি আটকিয়ে বাঁধ দিয়েছে। ফলে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতেও ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসি। এব্যাপারে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ জানান, রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে যদি কেউ ঘর নির্মাণ করে থাকে তাহলে এটা ঠিক করেনি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। খোঁজ নিয়ে দেখব এবং সত্যতা পেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাজাহারুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রকৌশলী রয়েছেন তাদের সমন্বয়ে আমরা এ জলাব্ধতা দূরীকরণ করে যাতে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়, সেই লক্ষে উদ্যোগ গ্রহণ করবো।