মায়ানমার নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানবন্ধন কর্মসূচী থেকে বক্তারা এ কথা জানান।
‘বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমারের লাগাতার সামরিক হামলা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্ষণ নিয়ে জাতিসংঘে বিশেষ আলোচনা রাখার দাবিতে’ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ভাসানী এই “মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার পর মায়ানমার সরকার সীমান্ত ঘেঁষে তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে। এর মাধ্যমে তারা শুধু তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্যবসা করে নাই, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো রোহিঙ্গাদের উপর এবং বাংলাদেশ সার্বভৌমত্বের ওপর নজরদারি রাখা।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের নেটওয়ার্ক বন্ধের জন্য দাবি জানিয়ে এসেছি কিন্তু টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কার্যত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। মায়ানমার জান্তা সরকার সাড়ে তিন লাখ সিম রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবহারকারী রোহিঙ্গাদের সকল গতিবিধি ও ডাটা সংগ্রহ করেছে। তাদের বিভিন্ন ডিভাইস বাংলাদেশ অভ্যন্তরে স্থাপন করেছে কিনা তা শনাক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। সেই সাথে মায়ানমারের অবৈধ নেটওয়ার্ক বন্ধ করে সীমান্তকে তাদের বিটিএস সরাতে দুই দেশের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আলোচনা শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে বিশেষ অনুরোধ এই অধিবেশনে মায়ানমার সামরিক বাহিনীর অনৈতিক কর্মকা-ের নিন্দা প্রস্তাব এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশেষ আলোচনা সভা আহবানের। আমাদের সামরিক বাহিনী যখন সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষী বাহিনীতে সুনাম অর্জন করে এবং আধুনিক অস্ত্র শক্তিতে সুসজ্জিত তখন মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর অনৈতিক কর্মকা- কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, মো. আনিসুর রহমান দেশ, মাসুম বিল্লাহ নাফিয়া, মিজানুর রহমান মিজু, ড. মোঃ মোর্শেদ, সাইকুল আলম টিটু, ডাক্তার এ কে এম হাফিজুর রহমান, গোলাম মোস্তফা সরকার প্রমুখ।