র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উগ্রবাদ ও অপরাধ মোকাবেলায় কৃতিত্বপূর্ণ অপরাধবিরোধী এই এলিট ফোর্সকে সংস্কারের কোনো প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো সংস্কারের কারণ দেখি না। এর সংস্কারের ব্যাপারে আমরা কিছুই করছি না। আমরা আমাদের নির্ধারিত নিয়মে কাজ করছি। আমরা আইন লঙ্ঘন করে কিছু করি না। সেক্ষেত্রে সংস্কারের প্রশ্নই আসে না।’
গতকাল শনিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং সরকার সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছে। এটা (আমাদের জন্য) কোনো চ্যালেঞ্জ নয়।’ তিনি আরো বলেন, এলিট ফোর্স আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক মোকাবেলায় তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ডিজি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি পিটার হাস জানান, র্যাবের বিষয়ে মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো র্যাবকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করায় এর জবাবদিহিতা ও সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। এলিট এই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ কয়েকটি জোরপূর্বক গুম এবং ক্রসফায়ারের ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। যদিও সংস্থাটি তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ‘সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ’ এবং জার্মান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন। পিটার হাস বলেছিলেন, র্যাব ও এর সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য তাদের শাস্তি দেয়া নয়; বরং তাদের আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহি করা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আমরা অতীতের ঘটনাগুলোর জবাবদিহিতা চাই।