ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা ও কৃষ্ণপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনোনয়ন পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। তিনি বলেন, আমার মা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমন একজন মানুষ ছিলেন, তিনি সালথা-নগরকান্দা ও কৃঞ্চপুরের উন্নয়নের জন্য যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চাইতেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বলতেন আমার ফুপু যা চায় তাই দিয়ে দাও। এভাবেই তিনি এলাকার উন্নয়ন করেছেন। মা ৮৬ সাল থেকে নগরকান্দা-সালথায় কাজ করেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে প্রান্তিক পর্যায়ে আমার মায়ের রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে আমি কাজ করেছি। মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য মায়ের নির্দেশে আমি কাজ করেছি। তিনি আরও বলেন, আল্লাহ রহমতে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই ফরিদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের সবার সহযোগিতায় আগামী নভেম্বরের ৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনে মায়ের (সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী) ও আমার নেত্রীর সম্মান রক্ষা করতে পারি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-২ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য মোট ১৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
তাদের মধ্যে সাজেদা চৌধুরীর দুই ছেলে আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী ও শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনাপরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) আতমা হালিম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা বাহালুল মজনু চুন্নু, ফরিদপুরের আটরশী পীরের নাতি জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সায়েম আমীর ফয়সাল, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার, ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. সাব্বির হোসেন, ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কাজী আব্দুস সোবহান, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংবাদিক মো. লায়েকুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ মিয়া, কালাচাঁদ চক্রবর্তী, এয়ার কমোডর কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব এবং এ বি এম শফিউল আলম বুলু।
প্রসঙ্গত, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর-২ আসনটি শূন্য হয়। পরে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হয় ৫ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন গত ২৬ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভায় এ তফসিল চূড়ান্ত হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১০ অক্টোবর, বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর। এ উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।