দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধাদের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষাকারী গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষ একসাথে লড়াই করেছিল। এই বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করতে পারিনি।’ গতকাল মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কেরানীগঞ্জের বাসায় পূজাম-পে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আমরা দুর্গাপূজা উদযাপন করছি।’ এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘অসুরকে পরাজিত করে শান্তি, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করতে এবং অন্যায় ও কুৎসিতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেবী দুর্গা পৃথিবীতে আবির্ভূত হন।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দানবীয় শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা যেহেতু সারাদেশের মানুষ অবিচারের শিকার হচ্ছে, তাই আমরা এই উৎসব উপলক্ষে সত্য, ন্যায় ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা এবং দানবকে পরাজিত করে সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার শপথ নিচ্ছি।’
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, বিএনপি ও আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আপনাদের সাথে কুশল বিনিময় করতে।’
বাংলাদেশের জনগণ অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের জন্মের শুরু থেকেই গণতন্ত্র ও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা গত কয়েক বছরে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, সরকার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।