রাজনীতি বড় জটিল ও কুটিল সমীকরণের বিশাল প্লাটফর্ম। আর সেই কারণে সংসার ধর্ম থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, উপজেলা, পৌরসভা কিংবা জেলা পর্যায়ের রাজনীতির মাঠ আরও কঠিন ও বৈচিত্র্যময়। নদীর জোয়ার ভাটার মত বড়ই দোদুল্যমান। সেই আলোকে স্ব স্ব যোগ্যতা দিয়ে আপন বলয়ে রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে হয় সকলকেই। স্থানীয় রাজনীতির মাঠে বহু গ্রুপিংয়ের মোকাবিলা করে নেতৃত্বের আপন বলয়ে স্থান করে নিতে হয়। আর আমরাও সুপ্রিয় পাঠকের জন্য বলছিলাম এবারের জেলা পরিষদের নির্বাচনের বর্তমান সময়ে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে একজন প্রার্থীর কথা। আর সেই প্রার্থী হলেন আমাদের সকলের সুপরিচিত স্বরূপকাঠি উপজেলার অতি পরিচিত মোঃ জাকারিয়া স্বপন। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সেবা করে সকলের সুনজরে রয়েছে আইনজীবী মোঃ জাকারিয়া স্বপন। কলেজ জীবন থেকে শুরু করে অদ্যবদি রাজনীতির মাঠে রয়েছে একাগ্রতা চিত্তে। একজন নিখাত রাজনৈতিক নেতাদের কাতারে রয়েছে নিঃসন্দেহে। সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজ শাখার ছাত্র রাজনীতিতে সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক পদচারণা শুরু। আর সেই থেকে আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমান সময়ে আইনী পেশায় জড়িত রয়েছে।
বর্তমান সময়ে সমাজ সেবায় নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। গত পাঁচ বছর পিরোজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রথম সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক দেয় সকলকে। এদিকে কর্মগুনে নিজ এলাকায় যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে সকলের সুনজরে আছেন। আর সেই কারণে এবারও দ্বিতীয় বারের মতো জেলা পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচনে মাঠে রয়েছে এ্যাড জাকারিয়া স্বপন। তালা প্রতিক পেয়েছেন পিরোজপুর ১ আসনের জন্য (নেছারাবাদ)। এদিকে শিক্ষা দীক্ষা থেকে শুরু করে একজন চমৎকার মানুষ হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে সকল ভোটারদের মাঝে। পাশাপাশি ক্রিকেটের ভাষায় অল রাউন্ডারও বলা যায় নিঃসন্দেহে। এবারের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানান মুখী অভিমত প্রকাশ করেন। আর সেই কারণে এবারের পিরোজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনে ১ (স্বরূপকাঠি) আসনের জন্য চলছে জয়ী হওয়ার কঠিন প্রতিযোগিতা। নির্বাচনের নুতন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিগত সময়ে নেছারাবাদ উপজেলায় পুরুষ সদস্য ছিলো তিনজন। আর এবারে সদস্য পদের জন্য নির্বাচিত হবে পুরুষ আসনে মাত্র একজন। সেই আলোকে এবারের নির্বাচনেরর মাঠে ভোট যুদ্ধ হবে কঠিন থেকে কঠিনতর।ইতিমধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সদস্য পদের এক আসনের নির্বাচন নিয়ে। যদিও এই আসনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছে আরও দুইজন।
সর্বমোট তিন জন্য রয়েছে সদস্য পদের নির্বাচনে। জয়ী হবে একজন আর সেই কারণে কঠিন ও জটিল সমীকরণ রয়েছে এবারের জেলা পরিষদের এক আসনের নির্বাচন নিয়ে।সহজ হিসাব নিকাশ কাজ করবে না বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন। তবে যোগ্যতার মাপকাঠিতে এ্যাড জাকারিয়া স্বপন বেশ এগিয়ে। বর্তমান সময়ে নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পাশাপাশি ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন এর সন্মানিত সাধারণ সম্পাদক। এব্যাপারে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের বর্তমান সকল চেয়ারম্যান এবং সন্মানিত সকল জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। বেশির ভাগ চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধিরা এক বাক্যে স্বীকার করেন জাকারিয়া স্বপন নিঃসন্দেহে যোগ্য প্রার্থী। সরাসরি বলেন তবে (নাম না প্রকাশের শর্তে) এবারের সদস্য পদের নির্বাচন হবে কঠিন থেকেও কঠিনতর। গত বারের প্লাটফর্ম আর এবারের অবস্থান একনয় কিন্তু। তিনজনের মধ্যে দুজন মুসলিম আর একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের। আবার দুজন গত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রার্থী। অপরদিকে পৌরসভার মেয়র সহ সদস্যরাও ভোটের আওতায়। এমনকি উপজেলার চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানরাও সন্মানিত ভোটার। পিরোজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনে স্বরূপকাঠির এক(১) আসনে মোট ভোটার ১৪৬। সুতরাং কঠিন সমীকরণের অপেক্ষায়। অপরদিকে স্বরূপকাঠি ও নাজিরপুর আসন নিয়ে নারী সংরক্ষিত আসনের ভোট। এ ব্যাপারে কথা হয় নেছারাবাদ আসনের তালা প্রতীকর প্রার্থী এ্যাড মোঃ জাকারিয়া স্বপনের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জ্ঞাতার্থে বলেন, আমি আমার যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। আমার বিগত সময়ের পরিশ্রম এবং সততার মাপকাঠি দিয়ে ভোটারদের ভালবাসা নিতে সক্ষম হয়েছি। বাদবাকি মহান আল্লাহর দোয়া। সন্মানিত ভোটাররা আমাকে যোগ্য মনে করে যোগ্যতার পুরস্কার দিবে ইনশাআল্লাহ।