দেশের জনগণ র্যাবকে খুব পছন্দ করে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনগণ, ওয়ান টু অল, র্যাঙ্ক অ্যান্ড ফাইল, র্যাবকে খুব পছন্দ করে। তারা বিশ্বাস করে র্যাব মানুষের নিরাপত্তা দেয়। তারা বিশ্বাস করে র্যাব দুর্নীতি করে না। তারা বিশ্বাস করে র্যাবের কাছে গেলে তারা বিচার পাবে। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মোমেন এসব কথা বলেন। গত বুধবার (৫ অক্টোবর) এ সাক্ষাৎকার সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাবের কারণে দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতাটা মোটামুটি বন্ধ। লাস্ট সন্ত্রাসী তৎপরতা হয় হলি আর্টিসানে (২০১৬ সালে)। এরপর আর হয়নি। সুতরাং যারা এই সন্ত্রাসকে পছন্দ করে, তারা খুব হতাহত, তারা খুব দুঃখিত। তাই তারা র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ইস্যু তৈরি করে, বানোয়াট জিনিস তৈরি করে। ড. মোমেন বলেন, যদি কোথাও র্যাবের অপরাধ হয়, অবশ্যই তার বিচার হবে। স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা আমরা চাই। এতে কোনো ব্যত্যয় নেই। কোনো হত্যাকা- ঘটলে সেটার বিরুদ্ধে একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে।
র্যাবে অনিয়ম হলে শাস্তি হয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাবের অনেক লোক চাকরিচ্যুত হয়েছে কিংবা ডিমোশন (পদাবনতি) হয়েছে। এমনকি কয়েকজনের ফাঁসিরও আদেশ হয়েছে, কারণ তারা হাইলি ইরোরগুলার (মারাত্মক অনিয়ম) কাজ করেছে। এখানে জবাবদিহিতার একটা নিয়ম আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমাদের সম্পর্ক একদিনের নয়, আজ ৫০ বছরের সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ। সিঙ্গেল কান্ট্রি (একক দেশ) হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় ট্রেডিং পার্টনার (বাণিজ্যিক অংশীদার)। বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। তাহলে একটি দুর্ঘটনা (র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা), সেটা নিয়ে আমাদের সম্পর্ক বিচার বিশ্লেষণ করা ঠিক হবে না।