নাট্যকার মাসুম আজিজকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়েছে। ১০ মাস ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন এ অভিনেতা। গত সপ্তাহে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, গত সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাসুম ভাইকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থা খারাপ হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়েছে।
ক্যান্সার ছাড়াও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন মাসুম আজিজ। ২০১৭ সালে তাঁর হার্টে চারটি ব্লক ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার করা হয়। এ ছাড়া সম্প্রতি কোনো এক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান আহসান হাবিব নাসিম।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিজেই জানিয়েছিলেন মাসুম আজিজ। চলতি বছরের জানুয়ারির দুই তারিখে ক্যান্সার ধরা পড়েছে জানিয়ে এই গুণী অভিনেতা বলেছিলেন, বুকে খুব সমস্যা হচ্ছিল। এ জন্য ল্যাব এইডে যাই। এক্স-রে করানোর পর সেটা দেখেই সন্দেহ হয়। পরের সিটি গাইড স্ক্যান করে ক্যান্সারের বিষয়টি নিশ্চিত হই। এখন টানা চিকিৎসা চলছে। ’
দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করেন এই অভিনেতা। এ পর্যন্ত কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
ফেব্রুয়ারিতে কালের কণ্ঠকে মাসুম আজিজ বলেছিলেন, ‘চিকিৎসকরা আমাকে অভয় দিয়েছেন। কিন্তু লড়াইটা কঠিন। লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছি। ইনিশিয়াল স্টেজে রয়েছে জার্ম। এখন দেখা যাক, কী হয়। ’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেন।
বুধবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবার একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য আছেন সাতজন ব্যক্তিত্ব। এঁরা হলেন জিনাত বরকতউল্লাহ (নৃত্য), নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর, সংগীত), ইকবাল আহমেদ (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু (সংগীত), খালেদ খান (মরণোত্তর, অভিনয়), আফজাল হোসেন (অভিনয়) ও মাসুম আজিজ (অভিনয়)।