সিরাজদিখানের যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন তার বসুমতি আপন নিবাস উদ্বোধন করান মুন্সিগঞ্জ ১ আসনের এমপি মাহী বি চৌধুরীকে দিয়ে। জাতীয় নির্বাচন আসার পূর্বেই সর্বদলীয় নেতাদের নিয়ে বিএনপি নেতার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকে ঘিরে নানা গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। সিরাজদিখাঁনে সর্বদলীয় আবাসন প্রকল্প উদ্ধোধন করলেন মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের এমপি মাহী বি চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে পুরো সিরাজদিখান ও শ্রীনগরে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। বিভিন্ন চায়ের আড্ডায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের বসুমতি আপন নিবাস নামের একটি প্রকল্প উদ্দোধন করেন বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) মধ্যাহ্ন ভোজের পরে। জমকালো আয়োজনে আবাসন প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। বিকল্প ধারার এমপি মাহী বি চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন। সকলের বক্তব্য এটা স্পষ্ট যে, যে দলই ক্ষমতাই আসুক তাদের ব্যবসার যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্যই জমকালো এই আয়োজন। বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেনের প্রকল্প বসুমতি আপন নিবাস। বিএনপির নেতার দাওয়াতে তিনি প্রধান অতিথি। সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় মেরুকরণ শুরু হয়েছে এখন থেকেই। এই মেরুকরণের অংশ হিসেবেই মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের এমপি মাহী বি চৌধুরী বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন বলে রাজনৈতিক একটি পক্ষ মনে করছে। এ বিষয় জেলা বিএনপি সদস্য ও যুবদলের সিরাজদিখান থানার সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন আমরা এলাকার সর্বদলীয় লোকদের নিয়েই প্রজেক্ট করতেছি। বৃহস্পতিবার এখানে শশরীরে উপস্থিত হয়েছেন প্রধান অতিথি বিকল্প ধারার মুন্সীগঞ্জ ১ আসনের এম পি মাহী বি চৌধুরী, (যিনি নৌকার প্রতিক নিয়ে এম পি হয়েছেন), বিকল্প যুবধারা থানা কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা ভাইচ চেয়াম্যান মাঈনুল হাসান নাহিদ, কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান ও অত্র ইউপি আওয়ামী সভাপতি আ¯্রাফ আলী , অতিথি চিত্র কোট ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল, অত্র সিরাজদিখান থানা বিএনপি”র নেতা ফজলুর রহমান ভুইয়া, একই ইউনিটের নেতা মঞ্জুর হোসেন সেন্টু। তিনি আরো বলেন, আমরা দলের বাহিরে না। একটু আপ্যায়ন করে ঝাক ঝমক ভাবেই প্রকল্পটি করতেছি। এখানে দলের কোন বিষয় না। সবদলের ব্যাক্তিদেরই এখানে আমন্ত্রন করা হয়েছে। যখন দেলোয়ারকে প্রশ্ন করা হয় পিঠ বাচাঁনোর জন্যেই কি সকলে একত্বতা প্রকাশ; না আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই আয়োজন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের দেলোয়ার হোসেন বলেন মাহী বি চৌধুরী, ডাঃ বি চৌধুরী আমাদের বিএনপির নেতাই ছিলেন। তিনি আরো বলেন মুন্সীগঞ্জ শাওন হত্যার আন্দোলন আমরাও করেছি। তখনই আবার প্রশ্ন করা হয় আসামীর তালিকায় আছেন কি না? এর উত্তরে তিনি আবার সূর ঘুরিয়ে ফেলে বলেন এটা তো সদরের ঘটনা আমাকে কেনো মামলা দিবে? এমন বিষয় বসুমতি আপন নিবাস প্রকল্পের অন্যতম কর্ণধার হিসেবে পরিচিত কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান এবং অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী সভাপতি আস্রাফ আলী বলেন আমরা দল মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়েই ব্যাবসার জন্য বসুমতি প্রকল্পের উদ্বোধনের কাজে এমপি সাহেবকে এনেছি। এই ধরনের কাজে সকল দলের লোকের প্রয়োজন হয়। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন জাতীয় নেতাদের বিষয় খেয়াল করেন, শেখ সেলিমের সাথে আত্বীয়তা, ব্যাবসা বিএনপি নেতা টুকুর সাথে। আমরা ব্যবসায়িক কাজে এলাকার সকলেই একমনা। আপনার দলীয় কোন বাঁধা নিষেধ আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এমন বিধি নিষেধ নাই। দল দলের জায়গাতে থাকবে, ব্যাবসা কাজ আলাদা ভাবে চলবে। এই ধরনের কাজে সবদলের লোক লাগবেই। এ বিষয় জেলা বিএনপি সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন বলেন , বিএনপি করে এমন যে কোন নেতা দলীয় শৃঙ্খলার বাহিরে গিয়ে একাদিক দলিয় নেতাদের সাথে ব্যবসায়িক বা কোন সংগঠনের কাজ করবে তার বিষয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে এমন কি তাকে দল হতে বহিস্কার করাও হবে প্রমান পেলে। তিনি আরো জানান , বর্তমান রাজনীতিতে দেশে ও দলের অন্তিম সময় । ঠিক সেই সময় এই ধরনের আনন্দ উল্যাস করে জনগনের বাহিরে গিয়ে ভুড়িভোজ , ব্যাসায়ীক কাজ দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি।