বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ সকল পর্যায়ের প্রতিবন্ধীদের সাথে নিয়ে আমরা উন্নয়নে পথে এগুতে চাই। প্রতিবন্ধীদের প্রতিভা, মেধা এবং অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা ভূমিকা রাখতে চাই। তাদেরকে করুনা এবং দয়া নয়, নাগরিক অধিকার প্রাপ্তিতে সরকার সদাসচেষ্ট। আমরা তাদের সর্বোত্তম সুক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। কোন স্বার্থান্ধগোষ্ঠী বা সংগঠন নিজেদের সুবিধা অর্জনের জন্যে যাতে প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার করে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামাতে না পারে এ ব্যপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সরকার সবাইকে ভাতা প্রদান করছে। তাদের চাকরি ও আয়মূখী কাজে প্রশিক্ষণ এবং দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। শনিবার জামালপুরে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবেগময় ভাষায় কথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ স্বাগত সাহা, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি জামালপুর সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত হাবিব সাত্তি, সমাজসেবা কর্মকর্তা (নিবন্ধন) ইকবাল হোসেন, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ও জামালপুর প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর সেলিম, চেতনা সংস্থার সভাপতি লাইলী বেগম, সিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি আরিফা ইয়াসমিন ময়ুরী, সরিষাবাড়ি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে জামালপুর শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারুক মিয়া। ইশারায় ভাষায় প্রতিটি বক্তব্য অনুবাদ করে দেন জামালপুর বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিনা বেগম।আলোচনা সভার পূর্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছেলে, মেয়েদের মাঝে সাদাছড়ি বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি উন্নয়ন সংঘ, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, সুইড বাংলাদেশের প্রতিনিধিসহ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা অংশ নেন। বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দৃষ্টি বিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তি নির্ভর সাদাছড়ি।