ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তা-বে উপকূলীয় কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চল। পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক চিংড়ি ঘেরের বাঁধ ভেঙে কোটি কোটি টাকার মাছ সাগরের পানিতে ভেসে গেছে।জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়ে সরকার মেগা প্রকল্পের একমাত্র যাতায়তের চালিয়াতলী টু মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলো। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কুতুবজোমের সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা, তাজিয়াকাটা, বড়দিয়া, অমাবশ্যাখালী, কালারমারছড়া ঝাপুয়া, মাইজপাড়া, উত্তর নলবিলা, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া, সাইরার ডেইল, হংস মিয়াজির পাড়া ও, হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী, ধলঘাটা ইউনিয়নের শরইতলা, সুতুরিয়া, বেগুনবনিয়া, পন্ডিতের ডেইল ও ঘাটপাড়াসহ দুই হাজার পরিবার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে, উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত উপকূলীয় নি¤œাঞ্চল থেকে পানি সরে যাচ্ছে। তবে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। রাতে উপকূলের ৫ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রের তিন শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ২ লক্ষাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, ধলঘাটায় ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, সেই সঙ্গে ৪টি চিংড়ি প্রজেক্ট সাগরের পানিতে ভেসে গেছে। তৎমধ্যে পূর্বদিকে মাদরাসা প্রজেক্ট প্রকাশ ফাঁড়া ঘোনা মীর আখ্তার কনক্ট্রাকশন কোম্পানীর অবহেলায় বাঁধ ভেঙ্গে প্রজেক্ট ইজারাদারসহ স্থানীয়দের কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গভীর রাত পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছিল লোকজনদের। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনা। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে পুরো উপজেলায় আমন ধান, পান বরজ ভেঙে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনার দাবী তোলেন ক্ষতিগ্রস্থরা।