মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দীনের ১২২তম জন্মদিন পালিত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

‘ওকি গাড়িয়াল ভাই/ কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে’-আব্বাসউদ্দীনের কণ্ঠে এমন দরদমাখা গান শুনে প্রথম মোহিত হয়েছিলেন বাংলার মানুষ। যে গান একসময় গ্রামোফোন রেকর্ডে শোনা যেতো দিবানিশি। আজ ঐতিহ্যের সেই গ্রামোফোন নেই, নেই ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দীন। তবে আজো যার গান হয়ে আছে চিরন্তন। ভাওয়াইয়া সম্রাটের ১২২তম জন্মদিন ছিল গত ২৭ অক্টোবর। দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করেছে দেশের বিভিন্ন সংগঠন।
১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর তিনি পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দরদি কণ্ঠে গাওয়া পল্লিগীতি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। গানের মাধ্যমে তিনি তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুসলিম মানসে জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন।
আব্বাসউদ্দীন ছিলেন মূলত স্বশিক্ষিত গায়ক। জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালাগান ইত্যাদি পল্লিগানের নানা শাখার গান গেয়ে ও সেসব গান রেকর্ড করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদদীন ও গোলাম মোস্তফার ইসলামী ভাবধারায় রচিত অনেক গানও গেয়েছেন। তিনি যখন গান শুরু করেন সময়টা ছিল বাংলার মুসলমান সমাজের নবজাগরণের কাল। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম খুব স্নেহ করতেন তাকে। কবি সবার কাছে আব্বাসউদ্দীনকে পরিচয় দিতেন ‘আমার ছোটভাই’ বলে। প্রায় ২০ বছর তিনি কবি নজরুলের সাহচর্যে ছিলেন।
যে কোনো গান শোনা মাত্র তিনি সুমধুর কণ্ঠে আয়ত্তে নিতে পারতেন আব্বাসউদ্দীন। জাতীয় কবির বিখ্যাত গান ‘ও মন রমজানেরই রোজার শেষে…’ গানটি প্রথম গেয়েছিলেন তিনি।
কলকাতায় বেড়াতে এসে আব্বাসউদ্দীন গ্রামোফোন কোম্পানিতে রেকর্ডে গান গাওয়ার সুযোগ পান। প্রথম রেকর্ড করা শৈলেন রায়ের লেখা দস্মরণপারের ওগো প্রিয়দ এবং দকোন বিরহীর নয়ন জলেদ দুদটি গানই জনপ্রিয় হয়। তিনি কুচবিহার থেকে কলকাতায় চলে আসেন।
পাকিস্তান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আব্বাসউদ্দিন ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট রাত ১২টার পর ঢাকা বেতার থেকে প্রথম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সেই থেকে ঢাকায় নতুন করে তার জীবন শুরু।
তিনি একজন অভিনেতাও। তিনি চারটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এগুলো হলো-‘বিষ্ণুমায়া’ (১৯৩২), ‘মহানিশা’ (১৯৩৬), ‘একটি কথা’ এবং ‘ঠিকাদার’ (১৯৪০)। ঠিকাদার ছবিতে আব্বাসউদ্দীন একজন কুলির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এসব সিনেমায় তিনি গানও করেছিলেন।
আব্বাসউদ্দীনের রেকর্ড করা গানের সংখ্যা প্রায় ৭০০। ‘ও কী গাড়িয়াল ভাই’, ‘তোরষা নদী উথাল পাতাল, ‘কারবা চলে নাও’, ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচান’, ‘মাঝি বাইয়া যাও’, ‘নাও ছাড়িয়া দে’, ‘ওই শোন কদম্বতলে’, ‘ও ঢেউ খেলেরে’, ‘নদীর কূল নাই’, ‘একবার আসিয়া সোনার’, ‘আল্লাহ মেঘ দে’, ‘আমায় এত রাতে কেন ডাক দিলি’, ‘ও কী ও বন্ধু কাজল ভোমরারে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের কণ্ঠশিল্পী এই মরমিশিল্পী। পল্লীগানের এই সম্রাট ১৯৫৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com