বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৫১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

২৮অক্টোবর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমানের ৫১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি। ১৯৪৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগুনা জেলার চাপড়া থানার ডুমুরিয়া গ্রামে তার জন্ম হয়। তার পিতার নাম আক্কাস আলী এবং মাতার নাম কায়ছুননেছা। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তাদের পরিবার বৃহত্তর যশোরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। ৭ ভাই-বোনের মধ্যে হামিদুর রহমান ছিলেন সবার বড়। ১৯৭১ সালে ২রা ফেব্রুয়ারী হামিদুর রহমান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তাকে প্রশিক্ষনে পাঠানো হয় ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার চট্রগ্রামে। ২৫শে মার্চ রাতে খান সেনারা বাঙ্গালীদের উপর আক্রমন শুরু করলে চট্রগ্রামেই প্রথম সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রথম খান সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। হামিদুর রহমান ওই যুদ্ধে অংশ নেয়। তাদের যুদ্ধকালীন এলাকা ছিল সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল এলাকায়। তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে দক্ষিনপূর্ব কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শত্রু পক্ষের দুইজন সৈন্যকে ঘায়েল করেন। এরপর শত্রু  পক্ষের গুলিতে ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর সকালে তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। তখন তার সহযোদ্ধারা তার লাশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলার সদর আমবাসার থেকে ৮৬ কিলোমিটার দূরে হাতিমারা ছড়া গ্রামে জানাযা দেওয়ার পর একটি মুসলিম পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর তার দেহবাশেষ ঢাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে আসা হয়। সর্ব স্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর ১১ই ডিসেম্বর মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পূণঃ সমাহিত করা হয়। খালিশপুর সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল ৯টায় পতাকা উত্তোলন, শোক র‌্যলী, প্রতিকৃতিতে মাল্য দান,মিলাদ মাহাফিল ও আলোচনা সভার আয়াজন করা হবে। ঐ সকল অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com