পরিবহন ধর্মঘটের কারণে অধিকাংশ হোটেলের বুকিং বাতিল করেছেন পর্যটকরা। পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ডাকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘট। এর ফলে সমুদ্র কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন কমেছে। বিগত দিনগুলোর তুলনায় শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ২০ ভাগ পর্যটকও ছিল না এই সৈকতে। ফলে কর্মহীন হয়ে বেকার সময় অতিবাহিত করতে দেখা গেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে প্রতি শুক্রবার ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে কুয়াকাটায়। বুকিং থাকে সব হোটেল মোটেল। তবে আজকের চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। বেশিরভাগ হোটেলের বুকিং গতকাল বৃহস্পতিবারই বাতিল হয়ে গেছে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট, গঙ্গামতী, লেম্বুর বন, রাখাইন মার্কেট ও শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারসহ প্রতিটি স্পটে অল্প কিছু পর্যটকের আনাগোনা ছিল। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের বেশির ভাগ স্থানেই এখন নিরাবতা ছেয়ে গেছে।
কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন বিভিন্ন রকমারী পণ্যের বিক্রেতা সুলতান মিয়া বলেন, ‘প্রতি শুক্রবার ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করি। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত দুই হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারিনি।’
খাবার হোটেল এ্যারাবিল্লার ব্যবস্থাপক সবুজ মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার টাকার খাবারও বিক্রি করতে পারিনি। যেসব পর্যটক আগে থেকেই কুয়াকাটায় এসেছেন শুধুমাত্র তাদের কাছেই কিছু খাবার বিক্রি করতে পেরেছি। আজ সকাল থেকে হাতে গোনা পর্যটক এসেছেন কুয়াকাটায়।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদ মোতালেব শরীফ বলেন, ‘আজ মাত্র ২০ ভাগ পর্যটক রয়েছে। নতুন করে সকাল থেকে কোনো পর্যটকের আগমন ঘটেনি। তবে যাদের নিজস্ব পরিবহন রয়েছে শুধুমাত্র তারাই কুয়াকাটায় এসেছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে ফের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বড় লোকাসানে পড়বেন।’