‘আমি আমার জনগণকে আরেকটি অনিবার্য বিপ্লবের জন্য
প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেভাবে রুখে দাঁড়ায় আক্রান্ত দুর্বল
বিধ্বস্ত জাহাজযাত্রীরা আঁকড়ে ধরে ভাসমান পাটাতন
তেমনি একাগ্রতা নিয়ে
আমি আপনাদের আসন্ন বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি।’
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আশির দশকের খ্যাতিমান কবি আসাদ বিন হাফিজের এমন হাজারো কবিতা, ছড়া ও গানের পঙক্তি তরুণদের রক্তে জাগরণের ঢেউ তুলেছিল। এখনো অব্যাহত আছে সেই জাগরণী স্রোত। কিন্তু তিনি এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ। আমার বন্ধু গাইড এন্ড ফিলোসফার এই কবির রোগ মুক্তি কামনা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে প্রার্থনা করছি।
‘অনিবার্য বিপ্লবের কবি’খ্যাত আসাদ বিন হাফিজ অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কবির সাথে ৬ নভেম্বর রোববার সকালে আমার কথা হয়। এ অসুস্থ অবস্থার মাঝেও তিনি নিজেকে প্রাণবন্ত রাখাতে সদা সচেষ্ট। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। তার সহধর্মিণী মিসেস কামরুন নেছা জানান,গত অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার কবি জ্বরে আক্রান্ত হলে বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। কবির রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকায় ডাক্তাররা তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। যেহেতু ইতোপূর্বে তার হার্টের অপারেশন হয়েছে এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে। কবিকে কয়েক ব্যাগ রক্ত দেয়ার পর আস্তে আস্তে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। উল্লেখ্য, কবির রক্তের গ্রুপ এবি পজটিভ। মিসেস কামরুন নেছা কবির আশু রোগ মুক্তির জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া কামনা করেছেন। কবির অসংখ্য ভক্তও সোস্যাল মিডিয়ায় যার যার মতো করে দোয়া করছেন এবং দোয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। আমরা সবাই চাই,সুস্থ সবল চিত্ত ও শরীরে কবি আবার ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে। তিনি কবিতা, ছড়া, গান আর গল্পকথায় আনবেন নব উদ্দীপনার জোয়ার। আমরা মনে করি, ্এই দুঃসময়ে কবিকে আমাদের মাঝে বড় বেশি প্রয়োজন। কেন প্রয়োজন? আসুন,এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজি কবির কবিতার মাঝে:
‘মৌসুম ছাড়া কোন বসন্ত আসে না, বর্ষা আসে না
মৌসুম ছাড়া ফোটে না কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিমুল
সময়কে ধারণ করতে না পারলে গর্ভবতী হয় না কোন রমণী
ফলবতী হয় না সবুজ ধানের শীষ
শিম আর মটরদানা
সময়কে ধারণ করতে না পারলে সফল হয় না বিপ্লবের আরাধ্য কাজ।’
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।