শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ধানুকা এলাকায় শতবর্ষী একটি পুকুর অবৈধভাবে ভরাট এর কাজ শুরু করে বালু ব্যবসায়ীগণ। পুকুরটির আয়তন হবে প্রায় এক একর। এরই মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ভরাট করে ফেলেছেন ওই পুকুরের মালিক। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন সদর। এসময় ওই পুকুর মালিকপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-সহ ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুকুরটির ভরাটকাজ বন্ধ করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিজা খাতুন। সহকারি পরিচালক রাসেল আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ পালং মডেল থানা পুলিশের একটি দল। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, পূর্বানুমোদন না নিয়ে পুকুর ভরাট করার অপরাধে অপরাধীকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত,২০১০) এর ৬(ঙ) ধারা লঙ্ঘনে এবং একই আইনের ১৫(১) ধারার টেবিল ক্রমিক নং ৮ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পুকুর মালিকপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- এবং ড্রেজার মালিককে একই আইনে পৃথক মামলায় ১০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র খবরপত্র কে বলেন, পৌর সদরে চাইলেই যেকোনো পুকুর ভরাট করা যাবে না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট হচ্ছে জানতে পেরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের অর্থদ- প্রদান করা হয়। উপস্থিত পুকুর মালিককে সতর্ক করা হয় ভবিষ্যতে এধরনের অপরাধ না করার জন্য করলে আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জলাধার রক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে পুকুরটি ভরাটের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে খবরপত্র কে বলেন, ধীরে ধীরে পৌর সদরে সব কটি পুকুর এভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই শরীয়তপুর শহরে সৃষ্টি হয় চরম জলাবদ্ধতা। আমাদের তাঁদের দাবি, পুকুরগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক।