ঢাকার ধামরাইয়ে ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা মাথায় ও গায়ে কাফনের কাপড় পড়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। জঙ্গি মামলার আসামীর ভাই ছাত্র শিবিরের কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ এবং ছাত্র দলের নেতা জামিল হোসেনকে টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতির পদ দেয়ায় আন্দোলনে নামেন নেতাকর্মীরা। মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করায় রাস্তার উভয় পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা যানযট লেগে যায়। পরে থানা পুলিশ এসে ছাত্র লীগের অবরোধ সরিয়ে দিয়ে দিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করেন। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে ধামরাই থানা বাসষ্ট্যান্ডে ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে এই অবরোধ বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। আন্দোলনে নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকা জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিল হোসেনকে উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি পদ দেন। শুধু তাই নয় জঙ্গি মামলার আসামীর ভাই শিবির কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়ায় ক্ষোব্দ হয়ে আন্দোলন করতে থাকেন উপজেলা ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্র লীগে কখনো জামাত শিবির, বিবাহিত ছাত্র দলের নেতা পদ পেতে পারে না। টাকার বিনিময়ে কেন তাদের পদ দেয়া হলো প্রশ্ন রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের কাছে। উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আওয়াল রুবেল বলেন, জামিল বিবাহিত, তার ছাত্র লীগ করার বয়স নাই। তাকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে এবং জঙ্গি মামলার আসামীর ভাই আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে। ধামরাই সরকারি কলেজ শাখার ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্র লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিলকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেন। জামিল প্রবাসে কর্মরত ছিলেন। আব্দুল্লাহ আশ শাবিব একজন শিবির ক্যাডার। তাকে দেয়া হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ।অথচ শাবিবের দুই ভাই জঙ্গি মামলার আসামী। যদি অতিশীগ্রই এই অবৈধ পকেট কমিটি বাতিল না করে তাহলে আমরা অনশন চালিয়েই যাবো। জেলা ছাত্র লীগের ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক তুষার আহমেদ শান্ত বলেন, যদি অবৈধ কমিটি বাতিল করা না হয় তবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সাইদুল ও মনিরের বহিষ্কারও চান তিনি। তবে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্র লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি পোন রিসিভ করেন নি। উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি জামিল হোসেনকে ফোন করলে তিনি বলেন, যারা এসব করেছে তারা পদপ্রার্থী ছিল। কিন্তু সবাই তো পদে আসবে না। তারাই অযথা ভিত্তিহীন কথা ছড়াচ্ছে। পদ না পেয়ে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে ধামরাই থানার (ওসি অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় যানযটের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা এসে অবরোধ সরিয়ে দিয়েছি। কোন ধরনের সমস্যা হয় নি।