দিনাজপুর সদরে রুবেল ডাকাত গংয়ের সন্ত্রাসী হামলায় শাহাজাহান গুরুতর আহত হয়ে ম্ত্যৃূর সংগে পাঞ্জা লড়ছে। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে সন্ত্রাসীরা হামলা চালার উপক্রম হলে কোন মতে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে প্রান ভয়ে পালিয়ে আসে। সু-বিচার পেতে তার পরিবার এখন প্রধান মন্ত্রীর দারস্থ হয়েছে। জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর’২২ তারিখে রাত্রী আনুঃ ৭ টার সময় দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী মাজার সংলগ্ন বড়ইল গ্রামের কসিম উদ্দিনের পুত্র শাহাজাহান সম্রাট তার ব্যবহৃত মটর সাইকেলে জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে রানীগঞ্জ মোড়ে পৌঁছামাত্রই রুবেল ডাকাত সহ ৮/১০ জন মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুর্বের জের ধরে শাহাজাহানের পথ গতিরোধ করে। এরপর তারা সন্ত্রাসী কায়দায় শাজাহানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রহার করতে থাকে। সেখান থেকে নিজের প্রাণ রক্ষার্থে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে শাহাজাহান গোপালগঞ্জ বাজারের দিকে দৌড় দেয়। এসময় তারা তাদের মোটর সাইকেলযোগে পেছন থেকে ধাওয়া করে। বেঙ্গলটেকনোর গেটের সামনে তারা তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে পেছন দিক থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর রুবেল ডাকাত বড় হাতুড়ি দিয়ে শাহাজাহানের বাম পায়ে স্বজোরে উপুর্যুপরি ২/৩ বার আঘাত করলে গোড়ালীর হাড্ডিটি বের হয়ে যায়। এরপর তারা তার বুকে ও পীঠে স্বজোরে আঘাত করে হাড় ভেঙ্গে দেয়। তবুও তারা ক্ষান্ত হয়নি। তারা জানে মেরে ফেলার জন্য সেখান থেকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় শাহাজাহানের আত্মচিৎকারে মিঠুন, আকালু ও পথচারীসহ ঘটনাস্থলে অনেক লোকজন এগিয়ে আসতে থাকে। বেগতিক পরিস্থিতি তারা শাহাজাহানকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে তুমি যদি দায়েরকৃত মামলা তুলে না নাও তাহলে তোমাকে সহ তোমার পরিবারের সকলকে খুন করে লাশ গুম করে দিবে। লোক মারফত খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে শাহাজাহানকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। শাহাজাহানকে পায়ের জন্য এক্সরে রুমে নিয়ে যায়। রুবেল ডাকাত সহ তার লোকজন শাহাজাহানকে হাসপাতালের বেডে খুজে না পেয়ে চলে যায়। পরিবারের লোকজন ভয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বর্তমানে রুবেল ডাকাত দলের সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত শাহাজাহান পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের হযেছে। মামলা নং-১৫, তারিখ ৬/১১/২২ ইং। রুবেল ডাকাতসহ তার সন্ত্রাসী দলের ভয়ে ভাঙ্গা পা নিয়ে শাহাজাহান আলী হাসপাতাল এমনকি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না। উল্লেখ্য যে, গত ১৩ মে’২১ তারিখ রাত ৯ টার দিকে শাহাজাহান এর ছোট ভাই মুসাকে উক্ত স্থানে একই কায়দায় রুবেল ডাকাত দলের সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাথারী দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে থাকে। সে সময় মুসাকে প্রায় ২ শতাধিক শিলাই দেওয়া হয়। বতর্মানে মুসা পঙ্গুত্ব হয়ে পড়ে আছে। এব্যপারে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা জিআর নং-৩০৯/২১। এদিকে রুবেল ডাকাত সহ তার লোকজন ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য ভিন্ন কৌশলবলম্বন করছে। একই সময়ের ঘটনা দেখিযে শাহাজাহান এর মামলা আগে না নিযে রুবেল ডাকাতের ভাই সাদেকুলকে বাদী দেখিয়ে আগেভাগে মামলা দাযের করেছে। সেই মামলায় শাহাজানের ছোট ভাই মুসাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রুবেল ডাকাতের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ পুলিশ গ্রেফতার করছেনা। এব্যপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাজেদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধি কে বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করার চেস্টা চলছে। বতর্মানে শাহাজাহান সহ তার পরিবার জানমালের চরম নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ বিযয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চাইলেন তার পরিবার।