সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন

দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

বাসস :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বন্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাঁদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিকরণে এসএমই খাত ও জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এভাবেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ইনশাল¬াহ।’
প্রধানমন্ত্রী আজ ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ‘১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২’ উপলক্ষে গতকাল বুধবারদেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন দশমবারের মতো ‘১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২’ আয়োজন করতে যাচ্ছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি মেলার আয়োজক, উদ্যোক্তাসহ সংশি¬ষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন ব্যবসা-বান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছি। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম প বার্ষিকী, বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে নতুন শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প বিকাশের ফলে অধিক জনবল শ্রমখাতে নিযুক্ত হচ্ছে এবং নারী উদ্যোক্তা ও কর্মী সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য দেশের এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসএমই খাতকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, এসএমই পণ্যের বাজারজাতকরণে এসএমই পণ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই মেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়াবে। এসএমই খাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রী ‘দশম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর যশোরের জনসভা থেকে
আসবে নির্বাচনী দিক-নির্দেশনা
প্রায় ২৭ মাস পরে আজ ২৪ নভেম্বর রাজনৈতিক জনসভায় সশরীরে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে যশোর জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রত্যাশা, এটি হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা। সর্বশেষ খবর । আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর এটি প্রথম জনসভা। তিনি নির্বাচনী আবহ নিয়েই জনগণের সামনে তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি দাবি করেছে তাদের সমাবেশে জনতার ঢল নামে। আমার প্রশ্ন, তাহলে তারা নির্বাচনে ভয় পায় কেন? তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি না নিয়ে কেন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সারা বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে? অস্থিতিশীল পরিবেশ যেহেতু তারা তৈরির চেষ্টা করছে, তারই প্রতিবাদে দেশবাসীর কাছে আমাদের আহ্বান যে, তাদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
আজ যশোর জনস্রোতে পরিণত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘জনসভাকে কেন্দ্র করে এই অ লের মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচা ল্য, উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এখানে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা না, এই অ লের মানুষরা জাতির পিতার আদর্শের প্রতি সব সময় সাংঘাতিকভাবে অনুরক্ত। এই অ লের উন্নয়নকামী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের ভেতরে ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সেই জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আজ।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। শুধু স্টেডিয়াম না, পুরো যশোরে জনস্রোতে পরিণত হবে। জনতার বন্যায় পরিণত হবে।’
‘জাতির জনকের কন্যার জনসভাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে একটি নতুন মেসেজ যাবে যে, বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের-সাম্প্রদায়িক শক্তির বাংলাদেশ নয়। দেশবিরোধী অপশক্তি—যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, যারা দেশের বিপক্ষে বিদেশিদের দুয়ারে দুয়ারে নালিশ করে বেড়ায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়ায় তাদের জন্য হবে মেসেজ; এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ জাতির পিতার সোনার বাংলা। এখানে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এখানে আমরা শান্তি-সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো। উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে,’ বলেন নাসিম। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বৃহত্তর যশোর অ লের গণমানুষ এই জনসভায় অংশ নেবেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে কাজ করছেন। আগামী দিনে তাদের জন্য শেখ হাসিনা দিক-নির্দেশনা দেবেন।’ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এটি স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভাষণ দেবেন।’
‘আমাদের কোনো কর্মসূচি কারো সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি না। আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশবাসী নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর বা ২৪-এর জানুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচন জাতির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। পার্টি হিসেবে এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে অপশক্তি এ দেশকে দীর্ঘ ২১ বছর শাসন-শোষণ-নিপীড়ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণের কাছে আমরা উপস্থিত হবো। আমাদের নেত্রী জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন,’ বলেন নানক।
চৌগাছা(যশোর) প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজ ২৪ নভেম্বর যশোরে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে চলছে চৌগাছার গ্রামে গ্রামে মাইকিং ও দলিও নেতা কর্মীদের মাধ্যমে প্রচার প্রচারনা। বিগত একসপ্তাহ ধরে চলছে এই প্রচার। এদিকে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মোস্তফা আশীষ ইসলাম মোবাইল ফোন ও আপসের মাধ্যমে জনগণকে জনসভা সফল করতে আহবান জানান। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান মন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত ও জনসভাকে সফল করতে চৌগাছার আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীরা রমরমা প্রচার করছে বিভিন্ন ভাবে। কেউ মাইকিং কেউ মোবাইলে কেউ বা বিভিন্ন আপসের মাধ্যমে। সবার উদ্দেশ্যে প্রতিযোগিতা সফল হওয়া।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com