র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের চেয়ে ১০ ধাপ পিছিয়ে থাকা মরক্কোর সঙ্গে গতকাল বুধবার গোলশূন্য ড্র করলো ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ ১২ ম্যাচে প্রথমবার গোল করতে ব্যর্থ হলো তারা। সবশেষ ২০০৬ বিশ্বকাপে জাপানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল দলটি।
বর্তমান রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমান তালে লড়াই করেছে মরক্কো। বল পজেশনে ক্রোয়েশিয়া এগিয়ে থাকলেও বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেছে আফ্রিকান দলটিকে। হাকিম জিয়েশ-আশরাফ হাকিমিরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফল অন্যরকম হতে পারতো। তবে ক্রোয়েশিয়ার মতো দলের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিশ্চিতভাবেই ভালো ফল মরক্কোর জন্য।
উয়েফা নেশনস লীগে সেমিফাইনালে ওঠা ক্রোয়েশিয়াকে এ ম্যাচে একদমই ছাড় দেয়নি মরক্কো। পুরো ম্যাচে মদ্রিচ-পেরিসিচদের নেওয়া পাঁচ শটের দুটি গেছে অন টার্গেটে। আর মরক্কোর আট শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে। ১৬টি ফাউল করলেও মাত্র একটি হলুদ কার্ড দেখেছে দলটি। ১১ ফাউল করা ক্রোয়েশিয়ার কেউ অবশ্য বুকড হননি। ম্যাচে পাঁচটি কর্নার পেয়েছিল তারা। সেগুলো কাজে লাগানো যায়নি।
প্রথম ৪৫ মিনিটে মরক্কোর গোলমুখে একটি শটও নিতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পেয়েছিলেন নিকোলা ভ্লাসিচ। তবে ছয় গজ থেকে ভ্লাসিচের নেওয়া শট দুর্দান্ত সেভে ঠেকিয়ে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুুনু।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মরক্কোর বুফলের নেওয়া সুফিয়ান বাউফলের দূরপাল্লার শট ব্লক করেন দেয়ান লভরেন। তবে আবার হেড নিয়েছিলেন নুসাইর মাজরাবি। দারুণ সেভে ক্রোয়েশিয়াকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। ৬৪ মিনিটে আরেকটি সেভে জাল অক্ষত রাখেন তিনি। শেষ ১০ মিনিটে গোল করার চাইতে বরং গোল হজম না করার দিকেই মনোযোগী হয় দু’দল। এতে এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।