খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক আচরণের প্রত্যাশা
স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে বৃটেন। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন বৃটিশ সরকারের বাংলাদেশ দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান মেইন ট্রিভেলিয়ান। একইসঙ্গে তিনি মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব কারাবন্দির প্রতি মানবিক আচরণের তাগিদ দেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক বৃটিশ উন্নয়নকর্মীর চিঠির জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বার্মিংহামের ট্রিনিটি রোডস্থ নিউ হোপ গ্লোবাল এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিইকে লেখা ওই চিঠিতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিষয়ত বৃটিশ প্রতিমন্ত্রী লিখেন, প্রিয় জনাব উদ্দিন, বাংলাদেশের মানবাধিকার এবং খালেদা জিয়ার কারাবাস বিষয়ে গত ১০ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বরাবর এবং ৩রা নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আপনি যে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশ দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি তার জবাব দিচ্ছি। গত ১০ই জুন আপনি আমাদের (বৃটিশ সরকার বরাবর) যে চিঠি দিয়েছিলেন তার জবাবে লেখা পত্রে আমরা বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। আমাদের সেই উদ্বেগ এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে বৃটেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে তিনি লিখেন- বৃটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনায় বরাবরই মানবাধিকার ইস্যুটি অগ্রাধিকার। বৃটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারবান্দিসহ সকলের মানবাধিকার নিশ্চিতে আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা সব সময় আমাদের এ সংক্রান্ত উদ্বেগ ব্যক্ত করি, তা ব্যক্তিগত বা আনুষ্ঠানিক যে পর্যায়ের আলোচনাই হোক না কেন। স্মরণ করা যায়, বছরান্তে বৃটিশ সরকার বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে তাতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিফলিত হয়। গত রিপোর্টে আটক ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগগুলো তুলে ধরা হয়েছে। মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন এবং বিধি বিধানের প্রতি বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার রয়েছে তার বাস্তবায়ন কামনা করে বৃটিশ প্রতিমন্ত্রী মিজ অ্যান মেইন লিখেন-সেই অঙ্গীকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে খালেদা জিয়াসহ সব বন্দির সঙ্গে বাংলাদেশ কতৃপক্ষ মানবিক আচরণ করবে বলে আশা করে বৃটেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।