কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের উত্তর পেন্নই গ্রামের সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে আনোয়ার হোসেন নামে এক ইউপি সদস্য। ওই খালের একই জায়গায় ৩টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতদিন বালু উত্তোলন করে বিলীন করে দিচ্ছে খালের অস্তিত্ব। এতে হুমকির মুখে পড়েছে তিন ফসলের জমি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তর পেন্নই গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন গত ৫ বছর যাবত একই মাঠের সরকারি খালে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। ফলে আশ-পাশের জমির মালিকরা হুমকির মুখে। সে এতই প্রভাব বিস্তার করে যে, তার এলাকার কৃষকরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সমর্থন থাকায় সে দেদারসে মাটি কেটেই যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ড্রেজারের শব্দে আশ-পাশের মানুষ বসতঘরে ঘুমাতে পারছে না। প্রতিনিয়তই পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে। এলাকার পুকুর, ডোবা, নালা ও তিন ফসলী জমি ভরাট করার ফলে ফসলি জমি ব্যাপক হারে কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ড্রেজার এখন বন্ধ। খালে বসানো ড্রেজারটি আমার ভাই লতিফ মিয়ার। সে প্রবাস থেকে এসে বেকার হয়ে যাওয়ায় ড্রেজার ব্যবসা দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি। শ্রীকাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ড্রেজার ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে তোয়াক্কা করে না। তাই পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসিল্যান্ড স্যারকে বলেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা বলেন, সরকারি খাল থেকে মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন ভুইয়া জনী বলেন, সরকারি খাল থেকে মাটি কাটার কোন বিধান নেই। যদি কেউ খাল কেটে মাটি উত্তোলন করে থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।