মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করার একদিন পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম দিনই যাত্রীদের টিকিট কাটা নিয়ে দেখা দিয়েছে সাময়িক বিড়ম্বনা। টিকিটের বিক্রয় মেশিন বা ভেন্ডিং মেশিনে খুচরা টাকা না রাখায় পাঁচশো বা হাজার টাকার নোট দিয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভেন্ডিং মেশিনে কোনো সমস্যা নেই। তবে যাত্রীরা বড় নোট দিলে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মেশিনের ভেতর খুচরা টাকা রাখা ছিল না। এ কারণেই প্রথম দিন কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। আগামী দিন থেকে এ সমস্যা আর থাকবে না।
প্রথম ধাপে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থাকে উত্তরা দিয়াবাড়ী পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। কিন্তু বৃহস্পতিবার আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, যারা ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট দিয়ে টিকিট কাটতে গিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে মেট্রোর ভেন্ডিং মেশিং বিকল দেখানো হচ্ছিল। তবে এক্ষেত্রে ভেন্ডিং মেশিনের কোনো সমস্যা ছিল না বলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।
আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের ভেন্ডিং মেশিনের কারিগরি দায়িত্বে থাকা খায়রুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ৬০ ও ১০০ টাকার টিকিট কাটার জন্য ভেন্ডিং মেশিন প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো যাত্রী ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট দিলে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার মতো টাকা মেশিনে মজুত রাখা ছিল না। এ কারণেই ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট দেওয়ার পর মেশিন বিকল দেখাচ্ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনটিতে মোট ছয়টি ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। অস্থায়ী একটি টিকিট কাউন্টারও করা হয়েছে।
ভেন্ডিং মেশিনের দায়িত্বে থাকা স্কাউট সদস্যরা জানিয়েছেন, মানুষকে বলেও ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার নোট দেওয়া থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না। তারা মেশিনে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার নোট দিলেই মেশিন সাময়িক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এদিন সকালে টিকিট বিক্রির শুরুতেই ভেন্ডিং মেশিনে জটিলতা দেখা দেয়। মেট্রোরেলের অতিরিক্ত স্টেশন কন্ট্রোলার সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুতই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তবে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার প্রথম দিন সকাল থেকেই আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রোরেলে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শুরুতে কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা দিলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।