রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন

মতিঝিল থেকে জিঞ্জিরা প্রাসাদ

এম এ মোমেন
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৩

চার্লস স্টুয়ার্ট (১৭৬৪-১৮৩৭) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনা কর্মকর্তা, ফার্সি ভাষায় পা-িত্যের কারণে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অধ্যাপক পদে ছিলেন। ভারতীয় ইতিহাস ও ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতির বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ব্রিটিশ-ভারতীয় আমলা তৈরির কারখানা হেইলবারি কলেজে পুনরায় অধ্যাপক পদে নিয়োগ পান। স্টুয়ার্টের হিস্ট্রি অব বেঙ্গল ১৮৪৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের ১০ বছর আগে প্রকাশিত। সে সময় ভারতীয় ইতিহাসের একটি পাঠ্যবই হিসেবে এটি সমাদৃত ছিল। তার রচনা থেকে ঘসেটি বেগমের উত্থান পর্বটি তুলে ধরছি:
আলিবর্দি খান নৈবেদ্য হিসেবে দিল্লির সম্রাট মোহাম্মদ শাহ ও তার উজিরদের জন্য ১ কোটি টাকা এবং ৭০ লাখ টাকার অলংকার, সিল্ক ও মসলিন পাঠিয়ে আনুগত্য ও বশ্যতার প্রমাণ দিয়ে নিজের জন্য তিনটি প্রদেশের সরকারপ্রধানের পদ বহাল রাখেন এবং শুজা-উল-মূলক ও হিশাম-উদ-দৌলার অতিরিক্ত খেতাব এবং ৭ সহস্র অস্ত্রের কমান্ডারের মর্যাদা নিশ্চিত করেন। তিন জামাতার জন্যও খেতাব জোগাতে সক্ষম হনÍবড় জামাতা নওয়াজিস মুহাম্মদের জন্য শেহামত জং, দ্বিতীয় জামাতা সাইয়িদ আহমেদের জন্য শওলাত জং ও তৃতীয় জামাতা জয়নুদ্দিনের জন্য শওকত জং। আর তার নাতি জয়নুদ্দিনের পুত্র মির্জা মাহমুদের জন্য আনেন সিরাজউদ্দৌলা শাহ কুলী খান, বাহাদুর এবং তাকে নিজের উত্তরাধিকারী নির্বাচন করেন। আর মির্জা মাহমুদের ছোট ভাইয়ের জন্য আনেন আকরামউদ্দৌলা। এসব খেতাবের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ পদবি ও ক্ষমতা তারা পেয়ে যান। নওয়াজিস মুহাম্মদকে ঢাকার সরকারপ্রধান করা হয়। ঢাকার অধিভুক্ত করা হয় সিলেট, ত্রিপুরা ও চট্টগ্রামকে। একজন ডেপুটির মাধ্যমে শাসন পরিচালনার অনুমতিও দেয়া হয়। জয়নুদ্দিন লাভ করেন বিহারের শাসনভার এবং ওড়িশার অধিকার লাভের পর পরই শাসনভার সাইয়িদ আহমেদকে প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। আলিবর্দি খান তার অন্যান্য আত্মীয় ও পোষ্যদের সরকারি চাকরি এবং তোষাখানা থেকে পূর্বসূরির আমলের প্রচুর অর্থও প্রদান করেন।
আলিবর্দি খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ঘসেটি বেগম ছিলেন নওয়াজিস মুহাম্মদের স্ত্রী আর আমিনা বেগম জয়নুদ্দিনের স্ত্রী। পুত্র মির্জা মাহমুদ ওরফে সিরাজউদ্দোলা ব্যক্তিগত শৌর্য, বীরত্ব ও রাজকীয় গুণাবলিতে মাতা আমিনা বেগমসহ আলিবর্দি খানকে মুগ্ধ করতে পেরেছিলেন বলেই তিনি নিজ বংশজাত অধিকতর যোগ্য হিসেবেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী নির্বাচিত হন। সিরাজের পিতা বিহারের গভর্নর থাকা অবস্থায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিহত হন। চার্লস স্টুয়ার্টের বর্ণনা: তার দেহ দ্বিখ-িত হয় এবং মসনদের তাকিয়া বা কার্নিশের ওপর পড়ে থাকে। তার রাজকোষ লুণ্ঠিত হয় এবং তার স্ত্রী আলিবর্দি খানের কন্যা অসম্মানজনকভাবে বন্দি হয়ে যান। নবাব আলিবর্দির সৈন্যরা শেষ পর্যন্ত আফগান শিবির থেকে তাকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। এর পর পরই সিরাজউদ্দৌলাকে বিহারের গভর্নর করে পিতার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। নওয়াজিস মুহাম্মদের স্ত্রী মেহেরউননিসা ওরফে ঘসেটি বেগম নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি সিরাজের উত্থান মেনে নিতে রাজি ছিলেন না বরং অন্য বোন মায়মুনার পুত্র শওকত জংকে সিরাজের জায়গায় দেখতে চেয়েছেন। সিরাজ অনেকটা বাধাহীনভাবে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার মসনদে বসলেন।
সিরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে তিনি তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার পুত্র মীর জাফর আলী খানকে প্ররোচিত করেন। তবে মসনদের জন্য সবচেয়ে বেশি লালায়িত ছিলেন ঘসেটির স্বামী নওয়াজিস মুহাম্মদ খান। কিন্তু ১৭৫৫ সালে তার অকালমৃত্যু ঘটে। ঘসেটি বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হন এবং মুর্শিদাবাদের মতিঝিল প্রাসাদে বসবাস করতে থাকেন। তিনি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত করেন, তাতে উমি চাঁদ ও জগৎ শেঠকেও সঙ্গে নেন। অগাধ অর্থ ও বিত্তের মালিক হওয়া এবং খরচেও অকৃপণ হওয়ায় ঘসেটি সিরাজের প্রশাসনের ভেতরে নিজের কিছু বিশ্বস্ত এজেন্ট তৈরি করতে পেরেছিলেন। আলিবর্দি খান সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সিরাজ যে বড় খালার প্রতি খড়্গহস্ত হতে পারেন এ আশঙ্কা ঘসেটি বেগমের ছিল, ফলে তিনি দ্রুত ফয়সালার পথে এগিয়েছিলেন। এই ফয়সালা হচ্ছে যেকোনো মূল্যে সিরাজকে মসনদচ্যুত করা।
সিরাজ পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের এবং ঘসেটির ষড়যন্ত্র উৎপাটন করতে ঘসেটি বেগমকে মতিঝিল প্রসাদ থেকে উচ্ছেদ করেন। রাষ্ট্র তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে। ঘসেটিকে হারেমে বন্দি করা হয়। সিরাজের পক্ষাবলম্বন করতে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করলেও প্রচুর অর্থব্যয় করে তাকে উচ্ছেদে ইংরেজদেরও শরিক করতে সমর্থ হন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতি সিরাজের বৈরিতা তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছিল। সুতরাং সাগ্রহে সিরাজকে উৎখাত ও নিধনে কোম্পানি এগিয়ে আসে। চার্লস স্টুয়ার্ট মনে করেন, বিরোধের বীজটি সিরাজউদ্দৌলাই রোপণ করেছিলেন। ঘসেটির স্বামী নওয়াজিসের প্রিয়ভাজন এবং অনুগত হোসেন কুলী খান ও তার এক ভাইকে সিরাজ হত্যা করেন। সিরাজের নানা আলিবর্দি খান তার আমলের যেসব দুষ্কৃতকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, বিভিন্ন পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত সিরাজ এসব ব্যক্তির কাউকে হত্যা করেন, কাউকে জমসমক্ষে লাঞ্ছিত ও বন্দি করেন। ‘এই নির্মমতা তাকে জনগণের ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং তিনি নিজেই তার ধ্বংস টেনে আনেন।’
চার্লস স্টুয়ার্ট থেকে উদ্ধৃত: সিরাজউদ্দৌলার সরকারের প্রথম কাজ একদল সৈন্য পাঠিয়ে তার বড় খালা ঘসেটি বেগমকে উৎখাত করা এবং তার প্রয়াত স্বামীর সব সম্পত্তি দখল করা। এই আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ঘসেটি বেগম অনেক লোক ভাড়া করে এনেছিলেন। সিরাজউদ্দৌলা ঢাকার গভর্নর রাজবল্লভের কাছ থেকে বিপুল অংকের অর্থ দাবি করেন। হুমকির মুখে রাজবল্লভ সঙ্গোপনে তার পরিবার ঢাকা থেকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন। তিনি সরকারের অনেক কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন এবং তার অনুগত মন্ত্রীদের অনেককে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেন। তিনি তার গৃহের তত্ত্বাবধায়ক মোহনলাল নামের একজন কর্মচারীকে পদোন্নতি দেন, যিনি সার্বিক বিষয়ে সিরাজের প্রধানমন্ত্রীর মতো ক্ষমতার্জন করেন। তিনি তাকে মহারাজা খেতাব দিয়ে পাঁচ হাজার অশ্বের কমান্ডার হিসেবে অভিষিক্ত করেন। মীর মদন নামের একজন সাধারণ বংশজাত ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ নিযুক্ত করেন। তিনি প্রধান বকশি বা পে-মাস্টার জেনারেল মীর জাফর আলী খানকে পদচ্যুত করেন। মীর জাফর কালবিলম্ব না করে তার অসন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং সিরাজের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসন্তুষ্ট সবার সঙ্গে আঁতাত করেন। বিশেষ করে সিরাজের পদলিপ্সু তারই অন্য খালা মায়মুনার পুত্র পূর্ণিয়ার গভর্নর শওকত জংকে মসনদের দাবি নিয়ে এগিয়ে আসার প্ররোচনা প্রদান করেন।
পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে থাকে এবং সিরাজের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পেতে থাকে। চার্লস স্টুয়ার্ট পরবর্তী অবস্থার বিবরণ দেন এবং ২৪ জুন ১৭৫৭ রবার্ট ক্লাইভের হাতে সিরাজউদ্দৌলার মর্মান্তিক পরাজয়ের আখ্যান ব্যাখ্যা করেন। মোহর আলী রচিত হিস্ট্রি অব দ্য মুসলিমস অব বেঙ্গল প্রথম খ-ের শেষ দুটি অধ্যায়ে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ লিখিত হয়েছে। ঘসেটি বেগমের ষড়যন্ত্র আর বিপুল অংকের অর্থব্যয় সিরাজউদ্দৌলার পতন ডেকে আনলেও মীর জাফর আলী খানের নতুন সরকার ঘসেটিকে প্রাপ্য পুরস্কার ও সম্মান দেয়নি। কার্যত তাকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হয়নি। তাকে হীরা ঝিলে আটক রাখার পাশাপাশি আলিবর্দি খানের অন্য কন্যা সিরাজউদ্দৌলার মাতা আমিনা বেগমকেও একই জায়গায় আটক রাখা হয়। ক্ষমতার কেন্দ্রে কারাগারে তাদের অবস্থান স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বিবেচনা করে পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বন্দি হওয়া অন্য নারীদের সঙ্গে তাদের দুই বোনকে বহুদূরে ঢাকায় জিঞ্জিরা প্রাসাদে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
জিঞ্জিরা প্রাসাদ সম্পর্কে কিংবদন্তির ঢাকায় নাজির হোসেন লিখেছেন: ‘বড় কাটরার সম্মুখ দিয়ে কুলকুল রবে বয়ে যেত বুড়িগঙ্গা নদী। এই নদীর অন্য পারেই জিঞ্জিরা। এর শুদ্ধ নাম ছিল জাজিরা অর্থাৎ আইল্যান্ড। এখানে নওয়াব ইব্রাহিম খাঁ ১৬২০-২১ খ্রিস্টাব্দে জিঞ্জিরা প্রাসাদ নওঘরা নির্মাণ করেছিলেন। সে সময় তিনি বাংলার সুবাদার পদে আসীন ছিলেন। এ প্রাসাদে প্রবেশের প্রাক্কালে প্রথমেই মোগল আমলে তৈরি ফটক অতিক্রম করতে হয়। ফটকের অনতিদূর পৃথক দুটি স্থানে দুটি প্রাসাদ রয়েছে। দেখলে মনে হয় একটি ফাঁসির মঞ্চ ছিল। অন্যটিকে দেখে মনে হয় প্রমোদাগার। জিঞ্জিরা প্রাসাদের নৃত্যশালায় আজ আর ঝলমলে বেশভূষা পরিহিত নর্তকীরা নেই।…আজ শুধু জমাট বাঁধা শেওলা আর আগাছার আস্তরণে জিঞ্জিরা প্রসাদ ক্রমেই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যেতে বসেছে।’
কিংবদন্তির ঢাকায় ঘসেটি বেগম, আমিনা বেগম ও সিরাজউদ্দৌলার পতœী লুৎফুন্নেসা নৌকাযোগে বুড়িগঙ্গা পথে জিঞ্জিরা আগমন ও প্রাসাদে প্রবেশের একটি বর্ণনা আছে। সম্ভবত তা ফিকশনাল, এর সপক্ষে কোনো রেকর্ড চোখে পড়েনি।
‘যে দিন বুড়িগঙ্গার তীরস্থ জিঞ্জিরা প্রাসাদে বন্দিদের নিয়ে রক্ষীদল উপস্থিত হয়েছিল সেদিন নদীর উভয় তীরে এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। উপস্থিত হাজারো জনতার কেউ সেদিন অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। শোকার্ত নর-নারী অশ্রুসিক্ত নয়নে দেখলেন নওয়াব আলিবর্দি খাঁর বৃদ্ধ মহিষী, বীরদর্পী কন্যা ঘসেটি বেগম, শেষ নওয়াব সিরাজমাতা আমিনা বেগম ও সিরাজের প্রাণপ্রিয় পতœী লুৎফুন্নেসা শিশুকন্যাকে বুকে চেপে ধরে অতি সাধারণ বন্দির মতো পদব্রজে জিঞ্জিরা প্রাসাদে প্রবেশ করছেন। প্রায় তিন বছর ঘসেটি বেগমকে এই প্রাসাদে বন্দি জীবনযাপন করতে হয়।’
পরবর্তী সিদ্ধান্ত মীর জাফরপুত্র মিরানের নেয়া। তিনি আলিবর্দি খানের দুই কন্যাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছেন। তারই নির্দেশে ঢাকার আসফ খাঁ ঘসেটি বেগমকে জানান যে তাকে মতিঝিল প্রাসাদ ফিরিয়ে দিয়ে সম্মানীয় স্থানে বসানো হবে। সুতরাং ১৭৬০ সালের গ্রীষ্মকালে একই বজরায় দুটি পৃথক কোঠায় দুজনকে উঠিয়ে নেয়া হলো। নৌকা বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরীতে পড়তেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নৌকাটি ডুবিয়ে দেয়া হলো। তলিয়ে গেলেন বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত ঘসেটি বেগম।
টীকা মতিঝিল প্রাসাদ: বাংলার তৎকালীন রাজধানী মুর্শিদাবাদে ১৭৫০ সালে নির্মিত। এটি নির্মাণ করান আলিবর্দি খানের জ্যেষ্ঠ জামাতা নওয়াজিস খান। পাথরে তৈরি প্রাসাদ। অশ্বক্ষুরাকৃতির একটি জমিনে প্রাসাদটি নির্মিত। জেমস রেনেলের মানচিত্রে এটি দেখানো আছে। নওয়াজিস ঢাকার গভর্নর ছিলেন। তার স্ত্রী মেহেরউননিসা ওরফে ঘসেটি বেগম। তারা নিঃসন্তান ছিলেন। ১৭৫৬ সালে ক্ষমতাসীন হয়েই সিরাজউদ্দৌলা ঘসেটি বেগমকে প্রাসাদ থেকে বহিষ্কার করেন এবং প্রাসাদ রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দ করেন। ১৭৭১-৭৩ পর্যন্ত এটা ছিল ওয়ারেন হেস্টিংসের বাসভবন। এ বাড়িতে অতিথি হয়ে অবস্থান করেছেন রবার্ট ক্লাইভ, জন শোর।জিঞ্জিরা প্রাসাদ: কসর-ই-জাজিরা বা দ্বীপের প্রসাদ। সুবাদার ইব্রাহিম খান নির্মাণ করেন সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিকে। মোগল স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। বাংলার প্রথম নবাব সুবাদার মুর্শিদ কুলী খানের দাপ্তরিক প্রাসাদ। বলা হয় লালবাগ দুর্গ ও জিঞ্জিরা প্রাসাদের মধ্যে যোগাযোগকারী একটি টানেল বুড়িগঙ্গার তলদেশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। ঢাকার ডেপুটি নায়েবে নিজাম হোসেন কুলী খানের সঙ্গে ঘসেটি বেগমের একটি অনৈতিক সম্পর্ক ছিলÍএই ক্রোধে সিরাজউদ্দৌলা হোসেন কুলীকে হত্যা করেন। হোসেন ও তার পরিবার এখানেই বসবাস করতেন। জীবনের শেষ সময় প্রাসাদটিই ঘসেটির কারাগারে পরিণত হয়। লেখক: এম এ মোমেন: সাবেক সরকারি কর্মকর্তা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com