বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের মাতব্বরির কোনও দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল রবিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন (সত্তরের নির্বাচনে) আওয়ামী লীগ মেজোরিটি পেলো, তাদের সরকার গঠন করতে দিলো না। তখনই তো আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। তারপর জেনোসাইড (গণহত্যা) হওয়ার পর আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। আমাদের (দেশের) জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জন্য, তুলে ধরার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রিন্সিপালগুলো আছে। তাই আমাদের অন্যরা মাতব্বরি করে এই পরামর্শ দেওয়ার দরকার নেই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার করেছেন যে আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। যারা আসতে চায়, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে তাদের ডেমোক্র্যাসি খুব দুর্বল। আর দেশটির রিপাবলিকান পার্টির ৭৭ শতাংশ মনে করে, গত প্রেসিডেন্সি ইলেকশন ছিল ফ্রড ইলেকশন এবং দে হ্যাভ স্টোলেন দ্য ইলেকশন (তারা ভোট চুরি করেছে)। এরকম তাদের মনমানসিকতা। আমাদের দেশেও কিছু লোক এই ধরনের আছে।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অন্যরা মাতব্বরি করতে পারেন। কিন্তু দে শুড ফলো আস (তাদের উচিত আমাদের অনুসরণ করা), আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। সুতরাং ওই সম্পর্কে উনারা যে বিভিন্ন সন্দেহ পোষণ করেন, তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞতার অভাব, জ্ঞানের অভাব। এবং তারা হয়তো জিনিসগুলো ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করছেন না বলে অনেক সময় অনেক অবান্তর বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমি আশা করবো তারা আমাদের ইতিহাস পড়ুক আর আমাদের চলার পথটা দেখুক।’