বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
নানা রঙের ফুলে রঙিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে পাল্টে যাচ্ছে মেলান্দহের মাহমুদপুরের চিত্র জগন্নাথপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত একজন ওসমানীতে ভর্তি বরিশাল সদর ও বাখেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহন আজ আজ কেশবপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৩টি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মাছ রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় সৈয়দ বিল্লাল হোসেনের দাফন সম্পন্ন নান্দাইলের কৃতিসন্তান কবি আবদুল হান্নানের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন শ্রীপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবিতে তারাকান্দায় বিক্ষোভ মিছিল

নরসিংদী জেলা প্রশাসন কর্তৃক ১শ’ ১০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের নির্দেশে নরসিংদী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: শাহআলম মিয়া স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীদের বেদখলে থাকা প্রায় ২১ একর খাসজমি যার আনুমানিক মূল্য ১শ’ ১০ কোটি টাকা বেদখলমুক্ত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের বেদখলে থাকা খাস জমি উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। বিগত এক মাসে শিল্পশহর মাধবদী ও নরসিংদী শহরসহ পাশর্^বর্তী ইউনিয়নে কোটি কোটি টাকা মূল্যের এসব খাসজমি বেদখল মুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা খুশি হয়েছে। ফলে এসব খাসজমি উদ্ধার হওয়ায় সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ ভূমিহীনদের মধ্যে জমি বরাদ্দ দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার শিল্পশহর মাধবদী ও নরসিংদী পৌরসভাসহ পাইকার চর, মহিষাশুরা, হাজিপুর, চিনিশপুর, মেহেরপাড়া, কাঁঠালিয়া ও আমদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে শত শত একর খাসজমি। এসব সরকারি জমি অবৈধ দখলে রেখে নির্মাণ করা হয় দোকানপাট, বসতবাড়ি, শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের অনুমোদনহীন স্থাপনা। কোথাও কোথাও খাল ও নালা দখলের কারণে সৃষ্টি হয় পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতাও। খাসজমি অবৈধভাবে দখলে থাকার কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। সরকারি স্বার্থ, সম্পদ সম্পত্তি রক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য বেদখলে থাকা এসব খাসজমি উদ্ধারে তৎপর হয় জেলা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে পরিচালিত পৃথক এসব অভিযানে বেদখল মুক্ত হয় সরকারি জমি। জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের নির্দেশে খাসজমি উদ্ধারে গত ১০ আগস্ট থেকে অভিযান শুরু করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যেট মো: শাহ আলম মিয়া। বিগত এক মাসে কয়েক দফায় পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানে নরসিংদী সদর উপজেলার প্রায় ১শ’ ১০ কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ২১ একর খাসজমি বেদখল মুক্ত করা হয়। সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নে খাসজমি ভোগ দখলে থাকা আমিনুল ইসলাম জানান, ১৯৮৪ সাল থেকে তার বাপ দাদারা এই জমি লিজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিল। এরপর থেকে আমরাও ভোগ দখলে আছি। কিন্তু আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাজনা পরিশোধ করিনি, এটা আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এতে আমাদের দখল অবৈধ হয়ে গেছে। সরকার যদি বরাদ্দ দেয় তাহলে আমরা নবায়ন করে জমি বরাদ্দ নিতে ইচ্ছুক। পাইকারচর ইউনিয়নে খাসজমি বেদখলকারী আল-আমিন বলেন, আমরাতো কেউ আইনের উর্দ্ধে নই। সরকার খাসজমি যেভাবে বরাদ্দ দেবে আমরা সে মোতাবেক বরাদ্দ নিতে ইচ্ছুক। আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য শামীম আহসান দেলোয়ার বলেন, যুগযুগ ধরে খাসজমি বেদখলে থাকায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। বর্তমান জেলা প্রশাসন এসব জমি উদ্ধারে তৎপর হওয়ায় বেদখলকারীরা সরকারি নিয়ম মেনে জমি বরাদ্দ নিতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় ভূমিহীনরা এসকল খাসজমি বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। নরসিংদী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যেট মো: শাহ আলম মিয়া জানান, অবৈধ দখলকারীরা এসব খাস জমিতে দোকানপাট, বসতবাড়ি, হাঁস-মুরগীর খামার, গরুর খামার ও বিভিন্ন শিল্পকারখানাসহ সব ধরনের অনুমোদনহীন স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিল। সরকারের স্বার্থে সরকারী সম্পদ রক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য বেদখলে থাকা এসব খাসজমি উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে। নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি জমি অবৈধ দখল মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব খাসজমি উদ্ধারের ফলে সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তি নিশ্চিতসহ আইনী প্রক্রিয়ায় ভূমি বরাদ্দের সুযোগ সৃষ্টি, সরকারি স্থাপনা নির্মাণ ও ভূমিহীনদের মধ্যে জমি বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com