মিয়ানমার থেকে আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দিতে চায় না সরকার। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের একটি সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আশা করে বাংলাদেশ।
গতকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে সরকারের এ মনোভাব তুলে ধরা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা করার বিষয়েও আমরা চীনের সহযোগিতা চেয়েছি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে এসেছিল। কিন্তু, জাহাজটিকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এমনকি, ভারতের বন্দরেও মালামাল খালাস করতে পারেনি ওই জাহাজ। জাহাজটি বর্তমানে চীনের বন্দরের দিকে যাওয়ার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ চীনের সায়েনথো বন্দরে (সিএনএসটিজি) জাহাজটির পণ্যগুলো খালাস করার কথা রয়েছে।
মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই রুশ জাহাজের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে কি না এবং জাহাজটি চীনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে পারবে কি না? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমরা শুধু জানি, যেহেতু এটা নিষেধাজ্ঞার জাহাজ, সেজন্য আমরা আমাদের পোর্টে এলাউ করিনি। ড. মোমেন বলেন, দ্যাটস দ্য অনলি থিং আই নো। তারপর কোথায় গেল, না গেল, আই ডোন্ট নো।