শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
মাধবদীতে লোডশেডিং ও গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যানের বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন বরিশালের মুসল্লিরা আদিতমারীতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা নওগাঁয় বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন ছড়ার পানিই ভরসা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর চকরিয়ায় একাধিক অভিযানেও অপ্রতিরোধ্য বালুখেকো সিন্ডিকেট রবি মওসুমে নওগাঁ জেলায় ৮৮ হাজার ১১০ মেট্রিকটন ভূট্টা উৎপাদনের প্রত্যাশা কটিয়াদীতে প্রচন্ড তাপ প্রবাহ, বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসস্তিকা বরিশালে দাপদাহে স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে শেবাচিম হাসপাতালে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু কালীগঞ্জে রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি লুট

মেয়র ও কাউন্সিলরদের ছুটি কমানো হচ্ছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক

‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনের বলে এখন থেকে মেয়র-কাউন্সিলরদের ছুটি তিন মাস থেকে কমিয়ে এক মাস করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন আইনে এখন থেকে সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান আইনে ছয় মাস আগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিধান রয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুক্ত হন। বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে সীমিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দেখা গেছে, বাস্তবে (সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী) কাজ করতে গেলে কিছু অসুবিধা হয়। এখন নিয়ম রয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ছয় মাসের (১৮০ দিন) মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অন্যদিকে রয়েছে যেদিন তারা (মেয়র ও কাউন্সিলর) মিটিং করবে সেই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সময় থাকবে। দেখা গেছে, চার-পাঁচ মাস আগে যদি নির্বাচন হয়ে যায়, শপথ হলেও তারা দায়িত্ব নিতে পারছেন না এই কন্ট্রাডিকশনের জন্য। মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অনেক দিন তাদের অপেক্ষা করতে হয়। এসব কারণে এ আইনের কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী যেদিন নির্বাচিতদের শপথ হবে এর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর হয়ে যাবে।’
ড্রোন ওড়াতে অনুমতি লাগবে: পাঁচ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন ওড়াতে অনুমতি লাগবে, এমন বিধান রেখে ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবেÍ তা নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট করে দেবে। গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে যুক্ত হন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সীমিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘‘সবার মতামত নিয়ে নীতিমালায় ড্রোনের চারটি শ্রেণি করা হয়েছে। বিনোদনের জন্য ‘ক’ শ্রেণি। ছেলেরা খেলনা হিসেবে ব্যবহার করবে। এটার ওজন অবশ্যই পাঁচ কেজির নিচে হতে হবে। পাঁচ কেজির বেশি হলে আর বিনোদনের মধ্যে পড়বে না।’’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘‘অবাণিজ্যিক কাজে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ‘খ’ শ্রেণির ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ড্রোনটির ওজন পাঁচ কেজির বেশি হলেও ওড়ানো যাবে, তবে কোনও বাণিজ্যিক ভিউ থাকতে পারবে না। যেমন- বনের সার্ভে করে, গবেষণা বা বই লেখার মতো নিজের কাজের জন্য এ ড্রোন ব্যবহার করা যাবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাণিজ্যিক কাজের জন্য ‘গ’ শ্রেণির ড্রোনের ওজন হবে পাঁচ কেজির ওপর। যেমন কোথাও সার্ভে করবে জমিজমা বা ফসলের ওপরে। কোনও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি করবে এটা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য।’’ ‘ঘ’ শ্রেণির ড্রোন রাষ্ট্রীয় বা সামরিক কাজের জন্য ব্যবহার হবে। রাষ্ট্রীয় কাজ যেমন- পদ্মা সেতুতে যে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি হবে ‘ঘ’ শ্রেণির ড্রোন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিনোদন বা খেলার জন্য (ক শ্রেণি) এবং সামরিক বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ড্রোন (ঘ শ্রেণি) ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে না। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রিন, রেড এবং ইয়োলো জোন করে দেওয়া হয়েছে। খেলনা বা বিনোদনের ড্রোন ৫০০ ফুটের বেশি ওপরে যেতে পারবে না। বাকিগুলোকে অনুমতি নিতে হবে। ‘ নীতিমালা অনুযায়ী ‘রেড জোন যেমন- এয়ারপোর্ট, ক্যান্টনমেন্টের ভেতর, পদ্মা সেতুতে কাউকে ড্রোন ওড়াতে দেওয়া হবে না। কারণ, কেপিআই এলাকার ভেতরে ড্রোন ওড়ানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেপিআই এলাকায় ড্রোন ওড়াতে হলে শুধু সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটির কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অনুমোদন দেওয়ার কর্তৃপক্ষ এমনভাবে নির্ধারণ করা হবে যাতে সবার সুবিধা হয়।’ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কেউ বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহার করতে চাইলে সেটা অথরিটি ডিফাইন করে দেবে বা অনলাইনে এর ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com