মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ভূমিকম্পসহ নগর দুর্যোগের শঙ্কা বাড়ছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

বাংলাদেশের নগরায়ণ ও নগর পরিকল্পনায় মাটির প্রকৃতি, ভূমিতলের উচ্চতা, ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রভৃতিকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। রাজধানী ঢাকার নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় জলাশয়-জলাভূমিকে ভরাট করে আবাসন ও অবকাঠামো নির্মাণের কারণে ভূমিকম্পসহ অন্যান্য নগর দুর্যোগের শঙ্কা বাড়ছে বহুলাংশে। বাংলাদেশের নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নিয়ে ভূমির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অ ল পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত ‘‌ঢাকা শহরের ভূপ্রকৃতি এবং অভ্যন্তরীণ ভূতাত্ত্বিক বিন্যাসের নগর পরিকল্পনাগত প্রভাব’”শীর্ষক পরিকল্পনা সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা উপরোক্ত মতামত দেন।
নগর ও অ ল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মাহফুজুল হক বলেন, ‘‌গত দুই দশকে ঢাকার নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় পূর্বাঞ্চাল ও পশ্চিমা লের যেসব এলাকায় নগরায়ণ হয়েছে, সেসব এলাকার মাটির বৈশিষ্ট্য ও ভূতাত্ত্বিক গঠন এর উপযোগী নয়। ফলে ভূমিকম্প হলে বছিলার মতো এলাকায় দুর্যোগ ও ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা বেশি থেকে যায়। ‌ঢাকার ভূমিতলের উচ্চতা ৫-১৮ মিটারের মধ্যে এবং এ অ লের অনেক স্থানে ভবন নির্মাণ ও নগরায়ণের জন্য উপযোগী লাল মাটি বিদ্যমান আছে। আবার অনেক এলাকায় প্রাকৃতিকভাবেই নিচু ভূমি, জলাশয় ও ভূ-অভ্যন্তরে পানি ধারণ অ ল বা একুইফার আছে। যথাযথভাবে”ভূমি উপযোগিতা বিশ্লেষণ না করে বর্তমানে নগরায়ণ হওয়ায় সামনের দিনে নগর দুর্যোগের শঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য যথাযথ বিবেচনায় না নেয়ায় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের যে প্রকল্প ও উদ্যোগ চলমান সেগুলোর মাধ্যমে কার্যকর উপযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনাও কম।’
অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘‌ভবন নির্মাণে যেমন বিল্ডিং কোড ও পরিকল্পনাসংশ্লিষ্ট আইন মানা হচ্ছে না, তেমনি প্রভাবশালীদের চাপে নগরায়ণ হচ্ছে স্বেচ্ছাচারীভাবে। ফলে সাময়িকভাবে কেউ কেউ লাভবান হতে পারলেও প্রকৃতির প্রতিশোধ থেকে সম্মিলিতভাবে কেউ রেহাই পাবে না। উদাহরণস্বরূপ সাম্প্রতিক সময়ে হাওর এলাকার বন্যায় সিলেটের কেন্দ্রীয় নগর এলাকাও তলিয়ে গিয়েছিল।’
অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, ‘‌রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (ইউআরপি) মাধ্যমে ঢাকা শহরের মাটির প্রকৃতি ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নিয়ে নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন করার রূপরেখা দেয়া হয়েছে। সামনের দিনের পরিকল্পনায় এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়েই নগরের সম্প্রসারণ ও টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে।’ বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক একেএম আবুল কালাম বলেন, ‘‌ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন নগর দুর্যোগের প্রস্তুতির জন্য সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি সারা দেশের ইমারত নির্মাণ যেন যাবতীয় নির্মাণ মানদ- মেনে করা হয়। এজন্য জাতীয় বিল্ডিং কোডের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’ পরিকল্পনা সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন নগর ও অ ল পরিকল্পনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আনিসা নূরী কাকন, ড. মেহেদী হাসান, অধ্যাপক কাশফিয়া নাহরিন, ড. ফরহাদুর রেজা, এসএম নওশাদ হোসেন প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com