গাজীপুরের কালীগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসসাদিকজামান। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হাতে চেক ও ঢেউটিন তুলে দেন।
এরআগ ইউএনও ঘটনার দিন (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২টি পরিবারকে তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা করেন। ইউএনও, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা ছাড়াও এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আশরাফুজ্জামান, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক সরকার প্রমুখ। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে কালীগঞ্জ পৌলসভার মেয়র এস.এম রবীন হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে তাদের নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা করেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম শোভন বলেন, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৪টি পরিবারের ৮টি ঘর পুড়ে যায়। পরে আমরা যাচাই-বাছাই করে ২টি পরিবারকে ২ বান্ডেল করে ঢেউটিন ও ৬ হাজার ও বাকী ২টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১ বান্ডেল করে ঢেউটিন ও ৩ হাজার করে টাকার চেক দেওয়া হয়। ইউএনও আসসাদিকজামান বলেন, হঠাৎলাগা আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে ৪টি পরিবারের ৮টি ঘর। মানবিক কারণে আমি তাদের কাছে ছুটে গেছি এবং আমি আমার সাধ্যমত ব্যক্তিগতভাবে সহযোগীতা ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করেছি। তিনি আরো বলেন, আগুনলাগার পরপরই গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রে আনার পাশাপাশি তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে আর্থিক সহযোগীতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। সত্যি এটা মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামে তালাবদ্ধ একটি ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর প্রায় আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তবে ততক্ষণে ৪টি পরিবারের ৮টি ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।