ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ এর আওতায় তিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের নিজ নিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবুকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাজী আবুল কালাম(৬১), পুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দফা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবু ফকির(৪৮) এছাড়া সালথা উপজেলার গোট্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লক্ষনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান লাবলু(৫০)। আতাউর রহমান বাবু ফকির আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তবে সাবেক সংসদ সদস্য শাহদাব আকবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হাবিবুর রহমান লাবলু সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি। এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মোঃ আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে দফা ও ডাঙ্গী ও লক্ষনদিয়া গ্রামে ওই তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা আছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। কাজী আবুল কালাম টানা তিনবার চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার সাইফুজ্জামান বুলবুল। পরের দুবার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হন তিনি। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ডাঙ্গী গ্রাম থেকে সরিয়ে এনে নিজ গ্রাম ভবুকদিয়ায় অস্থায়ী ইউপি কার্যালয় স্থাপন করেন। অপরদিকে আটককৃত আতাউর রহমান বাবু ফকির ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পুরাপাড়া ইউপির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। এদিকে হাবিবুর রহমান লাবলু গট্রি ইউনিয়নের তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এরা সকলেই স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর অলাবু চৌধুরীর সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে উঠে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ইউপি সদস্যরাসহ স্থানীয়রা টিআর, কাবিখা, কাবিটা, উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা, হাটবাজার, এডিবিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বাবু ফকিরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে আট ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এরা সকলেই আওয়ামীলীগের ভক্ত। তবে বিভিন্ন গ্রুপে অবস্থান করতেন।