বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ধনবাড়ীতে পান চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের ফটিকছড়িতে দু’দশক ধরে সযত্নে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নামফলক সুনামগঞ্জে রমজানের আগেই দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনার আহবান জানালেন আরিফুল হক চৌধুরী নগরকান্দা ও সালথায় ডেভিল হান্টের আওতায় তিন ইউপি চেয়ারম্যান আটক কাপাসিয়া ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা জামালপুরে অশ্লীল নৃত্য বন্ধ করতে বলায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে মারধর, প্রতিবাদে জনতার বিক্ষোভ পাবর্তীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে গণসংবর্ধনা কমলগঞ্জে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ চকরিয়ার ফাসিয়াখালীর বনে পাতানো ফাঁদে পড়ে আরো এক হাতির মৃত্যু!

কালীগঞ্জে মাজরা ও নেক ব্লাষ্টা রোগে ধানের সর্বনাশ, কৃষকের মাথায় হাত

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইরি বোরো ধান খেতে নেক ব্লাষ্টর রোগে প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এতে নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। কীটনাশক প্রয়োগেও প্রতিকার মিলছে না। ফলে খেতের ফসল হারানোর শঙকায় হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কালীগঞ্জে একটি পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে, ৯ হাজার ৮ শত হেক্টর জমি রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলন ৬ হাজার ৯ শত ২৫ হেক্টর, ২ হাজার ৮ শত ৭০ হেক্টর হাই ব্রিড, স্থানীয় ৫ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছে। রোপণকৃত বোরো ধান মাজরা ও নেক ব্লাষ্টা রোগে হওয়ায় বিপর্যয়ের মূখে পড়েছেন কৃষক। জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুর্শ্চিতায় আছেন তারা। সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বির্স্তীণ জমির ধানগাছের ৬০ ভাগ থোড় (শিষ) বেরিয়েছে। এর অধিকাংশ শিষ মাজরা ও নেক ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। বরাইয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন- ঋণ করে ২ বিঘা জমিতে ব্রি ২৮ রোপণ করি, রোগে আক্রান্ত হয়ে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমি কি খাই আর ছেলে-মেয়েদেরকে কি খাওয়াই। জাহাঙ্গীর আলম খান, মিয়াজ উদ্দিন বেপারী, নাজির উল্লাহ, মোক্তার হোসেন, দুলাল, জয়নাল খন্দকার, সিদ্দিক বেপারী, মামুন, আক্তার উজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, কবির বেপারী, চাঁন মিয়া, ইসমাইল, রিপন, শরীফ শেখসহ একাধিক কৃষক জানান, এই ধানের খড় গরুও খেতে চায় না। শীষ মরা রোগে সমস্ত জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। লাভ তো দুরের কথা, খাবারই জুটবেনা। জমির মালিক যদি ছাড় না দেন বাজার থেকে ধান কিনে দিতে হবে তাকে। ধানের শীষের গোড়ার দিকে কালো দাগ হয়, দুইদিনের মধ্যে সমস্ত শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যায়। ঔষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ধানের যে অবস্থা তাতে ধান কাটা আর না কাটা একই সমান। অধিকাংশ কৃষকের দাবি ক্ষেতে ওষুধ স্প্রে করেও শীষ মরা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। বাড়িয়াদী গ্রামের দুলাল জানায়, কিস্তিতে টাকা তুলে ৩ বিঘা জমি রোপণ করি, তাও নষ্ট হয়ে গেছে। জাঙ্গালীয়া গ্রামের কবির আকন্দ, রতন আকন্দ, হবি আকন্দ, বলেন- ঋণ করে কয়েক বিঘা জমিতে ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ রোপণ করি, নেক ব্লাষ্টারে সবই ধ্বংস করে দিয়েছে। বড় একটি অংশ আসে বোরো ধান থেকে। বর আশা নিয়ে এবারও ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেছি। তাও নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের এ অঞ্চলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। এ বিষেয়ে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম বলেন- নেকব্লাষ্টা রোগ নিয়ন্ত্রনে আমাদের উপসহকারী কৃষির্কমর্কতারা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষকদের “ট্রুপার, নাটিবোও ও সেলটিমা“ নামক ঔষধ ব্যবহারের পরামর্শও দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন-ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ অনেক পুরনো ধান। অনেক আগে থেকেই কৃষকদের নিরোৎসাহি করে যাচ্ছি তা রোপন না করার জন্য। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া বয়ে যাচ্ছে দিনের বেলা প্রচুর তাপ আর রাতে শীত। এইরূপ আবহাওয়া নেক ব্লাষ্ট রোগ সংক্রামণে খুবই উপযুগী। যার ফলে এটা রোগের প্রকোপ বাড়ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com