শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর ঘোষণা দেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর ফলে টানা তিন মাস দুই বিলিয়নের বেশি আসা রেমিট্যান্স জুলাই মাসে হঠাৎ দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে আসে।
প্রবাসীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা করে সরকারের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হয়ে ওঠেন। এর প্রভাব পড়ে রেমিট্যান্সে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। চলতি আগস্টের প্রথমদিকে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও পরে তা বেড়েছে বহুগুণে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগস্টের প্রথম ১০ দিনে দেশে বৈধপথে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে শুধু ৪ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার।
তথ্য বলছে, আগস্টের প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর ৪ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে প্রবাসীরা ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ এ সময়ে আগের ৩ দিনের চেয়ে ৪ গুণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তারা।
চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটির (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
সময় মতো বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা: অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা সময়মতো বৈদেশিক ঋণের সব কিস্তি দেবো, পরিশোধ করবো। আমাদের অবস্থা এতো খারাপ না। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের কমিটমেন্ট যেটা আছে তা রাখতে হবে বাইরে থেকে অনেকে বলছে কিছুই নাই, কথাটা ঠিক না। এখন সবাইকে এক্সট্রা এফোর্ট দিতে হবে। জিডিপির তুলনায় আমাদের ঋণ এতো বেশি না। ইতালি ও গ্রিসের অবস্থাও ভালো না। তিনি আরও বলেন, অনেকে বৈদেশিক ঋণের টাকায় ৫০০ টাকার জিনিস ৫ হাজার টাকায় কেনে। ভাবখানা এমন এটা পরিশোধ করা লাগবে না। এটা চলবে না।