সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ডেন্টিস্ট না হয়েও খুলে বসেছেন দাতের চিকিৎসালয় দিচ্ছেন দাঁতের চিকিৎসা। ঔষধের দোকানের লাইসেন্স নেই তবুও এল,এম,এ,এফ এর কোর্স করেই খুলে বসেছেন ওসুধের দোকান এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাদলা গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কোনরকম ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই পৌর শহরের পুকুরপাড় আজিজের মোড়ে জেবা মেডিকেল হল এন্ড চিকিৎসালয় নামে ঔষধের দোকান খুলে বসে আছেন এবং চিকিৎসা দিচ্ছেন। বিক্রি করছেন ঔষধ। জানাগেছে, তিনি শুধুমাত্র (“এল,এম,এ,এফ”) লোকাল মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ফার্মেসীর সনদ নিয়েই তিনি ঔষধের দোকান খুলে নিয়মিত রোগী দেখছেন এবং ঔষধ বিক্রি করছেন সেইসাথে ডেন্টিস্ট না হয়েও ডেন্টিস্ট এর সাইনবোর্ড লাগিয়ে এবং ঔষধের দোকানের ভেতরে ডেন্টাল ক্লিনিকের যন্ত্রপাতি বসিয়ে তৈরী করেছেন দাঁতের চিকিৎসালয়। নাম দিয়েছে জেবা ডেন্টাল কেয়ার। যা সম্পুর্ন রাষ্ট্রীয় আইনের পরিপন্থী। তার এমন প্রতারণামুলক কর্মকা-ে রীতিমতো হতবাক অনেকেই। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এটা রীতিমতো প্রতারণা। তার এহেন কর্মকা-ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে অনেকেই। এবিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনো আমার ঔষধের দোকানের লাইসেন্স করা হয়নি তবে সিরাজগঞ্জে কোর্স করছেন বলে জানান তিনি। তবে ডেন্টিস্ট না হয়েও ডেন্টাল ক্লিনিক খুলে দাঁতের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এখানে যন্ত্রপাতি থাকলেও দাঁতের চিকিৎসা তিনি করেন না। এগুলো আগের প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র। তবে তিনি লাইসেন্স বীহিন ঔষধের দোকানের ব্যাপারে স্বীকার করে বলেন লাইসেন্স ছাড়া ঔষধের দোকান করা অপরাধ। এব্যাপারে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন আলম বলেন, এধরণের কার্যকলাপ করে থাকলে যাচাই বাছাই করে ভোক্তা অধিকার আইনের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।