কক্সবাজারের চকরিয়ার প্যারাবনে তুলে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৮জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে প্রথম দফায় উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের নিজ নিজ বাড়ি থেকে ৩জন ও পরদিন সকালে মহেশখালীর শাপলাপুর এলাকা ৪জন ও বদরখালী বাজার থেকে ১জন সহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়। ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনেরা জানান, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনো আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি কিশোরী। কিশোরীর পরিবারের লোকজন বলেন, গত রোববার ৫জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী বাঁশখালী থেকে ফিরছিল। এরপর বদরখালী বাজারে সিএনজি থেকে নামার পর মহেশখালীগামী সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠে সে। পথে বদরখালী সেতুতে গাড়ি নষ্ট হয়েছে বলে চালক ওই কিশোরীকে নামিয়ে দেন। গাড়িটিতে কিশোরী একাই ছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা কিশোরীর গতি রোধ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে প্যারাবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থায় ওই কিশোরীকে বদরখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় প্রথম দফায় আটক ৩জন হলেন বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির(৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আবদুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান(২৭) ও কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল(২৩) ও দ্বিতীয় দফায় মহেশখালীর শাপলাপুর মৎস্য ঘের থেকে আটক ৪জন হলেন- বদরখালীর মো. আবছার উদ্দিনের ছেলে সজীব, বশির আহমদের ছেলে ছোটন, জিয়াবুলের ছেলে তাজুল,গোলাম কাদেরের ছেলে তারেক, তারা সকলে বদরখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৮জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন, কিশোরীর পরিবার মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মামলার পর আটক ৮জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। পাশাপাশি ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে কিশোরীকে আদালতে নেওয়া হবে।