রাউজান থেকে রাঙামাটি শহর পর্যন্ত চার লেনের সড়ক করার সুপারিশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি একই সভায় পার্বত্য তিন জেলার স্বাস্থ্য সেবাখাত গৃহায়ন, ঝূকিপূর্ন বেইলী ব্রীজগুলো সংস্কার ও দূর্গম অঞ্চল বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে একটি হেলিকপ্টারও বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ করেছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্থায়ী কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজগুলো চিহ্নিত করে চলাচলের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে পার্বত্য এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে পাহাড়ে চলাচল উপযোগী মানসম্মত গাড়ি এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পাহাড়ে চলাচল উপযোগী অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি, জনবল কাঠামো, প্রকল্প পরিচালকগণের মেয়াদকাল, ব্যবহৃত যানবাহন ও ইকুইপমেন্ট সমূহের যথাযথ ব্যবহার, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন শিল্পকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিন জেলায় তিনটি ইকো পার্ক স্থাপন, তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও করোনা সর্বশেষ পরিস্থিতি, রাউজান ঢালাইর মুখ থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত পাকা রাস্তা ৪(চার) লেনে রূপান্তরকরণ এবং তিন পার্বত্য জেলায় কক্সবাজারের ন্যায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পার্বত্য এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে পাহাড়ে চলাচল উপযোগী মানসম্মত গাড়ি এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পাহাড়ে চলাচল উপযোগী অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এছাড়া পার্বত্য এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনে জনসংখ্যার ভিত্তিতে না করে দূরত্ব বিবেচনায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি। অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলের সকল বিদ্যালয়কে স্কুল ফিডিং এর আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়। পার্বত্য এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজগুলো চিহ্নিত করে চলাচলের উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়। কমিটি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পার্বত্য এলাকায় একটি হেলিকপ্টার সরবরাহ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলাম শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় তাঁর অনুরোধে কমিটির সিনিয়র সদস্য এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকটি সম্পন্ন হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊ শৈ সিং, রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং বাসন্তী চাক্মা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।