যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৪ মে) সকাল নাগাদ বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৭২৯ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৭০ জনের। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৮৭টি দেশ ও অঞ্চল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৪০। মৃত্যু হয়েছে ৬৭ হাজার ৬৮২ জনের। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ১৫২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে স্পেনে। সে দেশে ২ লাখ ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ২৬৪ জনের। আবার মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৮৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৭১৭ জন।
ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৫ জন। মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজারের কাছাকাছি। যুক্তরাজ্যেও করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪২ জন। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৮৬৬ জনের।
এমআর/প্রিন্স