‘সংকটে সংগ্রামে নির্ভিক সহযাএী’ জন্ম দিবসের এ প্রতিপাদ্য কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করেছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর লামা, রবিবার (৮ আগষ্ট) লামা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেলা ১২ ঘটিকায় জুম মিটিং ও ১ টায় দোয়া ও অসচ্ছল নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরনের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, ইতিহাসের মহা নায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী, জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলার মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। ১৯৩০ সালের ৮ আগষ্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গী পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন, ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তার ডাক নাম ছিল রেনু। পিতার নাম শেখ জহুরুল হক এবং মাতার নাম হোসনে আরা বেগম, এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। আলোচনা পর্বের শুরুতে মহিয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতি গঠনে, তার অসামান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শই হতে পারে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি, বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার যে অপরিসীম ভূমিকা আছে, তা কোন ভাবেই ভূলে যাবার নয়, এ আলোচনায় বঙ্গমাতার আন্তরীক, নির্ভীক ও নিরন্তর সাহচর্য বঙ্গবন্ধুর এবং বাংলাদেশের বিজয়ের জন্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা বারংবার উচ্চারিত হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনের কিছু স্মৃতিচারন করেন এবং ঐ ঘটনাগুলো বিশ্লেষন করে তিনি বঙ্গমাতার অবদান আলোচনা করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ধারন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ, আর বঙ্গমাতার রেখে যাওয়া, আদর্শ হতে বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি। তিনি ছিলেন বাঙ্গালির অহংকার, মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। তিনি কেবল জাতির পিতার সহধর্মিনীই ছিলেন না, বাঙ্গালির মুক্তির সংগ্রামে ও তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত। তিনি অসাধারন বুদ্ধি, সাহস, মনোবল, সর্বংসহা ও দুরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনে বঙ্গমাতা যেমন আলোকবর্তিতা, তেমনি আমাদের স্বাধীনতা ও দেশের মানুষের জন্য তার অবদান অনন্য অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নাম চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ, এর সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা ভাইচ-চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দীন ও মিল্কি রানি দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, সরকারি-বে সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যক্তী-বর্গ উপস্থিত ছিলেন।