করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীনের উহানে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বন্যপ্রাণী খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। বুধবার (২১ মে) উহান পৌরসভার সরকারি ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন থেকে বন্যপ্রাণী খাওয়া ও শিকার নিষিদ্ধ করা হলো। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই আইন কার্যকর করা হলো। এ সময়ের মধ্যে বিরল ও বিপন্ন জলজ প্রাণীর ব্যবহারও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
চীনে শুধু বন্য প্রাণী খাওয়া হয় না। বিভিন্ন দুর্লভ প্রাণীর অংশবিশেষ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এমনকি চীনের অনেক মানুষ বিশ্বাস করে, এসব প্রাণী খেলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়াও বন্য প্রাণী খাওয়া চীনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি অংশ।
গবেষকরা বলছেন, উহানের একটি বন্যপ্রাণী বিক্রয়ের মার্কেট থেকে মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে বন্যপ্রাণী ব্যবসায়ের ওপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে দ্রুত বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার কথা জানায় চীন কর্তৃপক্ষ।
তবে এমন নিষেধাজ্ঞা চীনে এই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর সাপ খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় চীন। সে সময় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও মামলা দেওয়ার রেকর্ডও ছিল। কিন্তু সে প্রেক্ষাপটের পর খুব বেশি দিন নয়, ২০১৯ সালে এসে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। আর এখন গোটা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস।
এমআর/প্রিন্স