মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের এ দুঃসময়ে পটুয়াখালী জেলার দুমকী-মির্জাগঞ্জ ও সদর উপজেলার কর্মহীন, গরীব, ও অসহায় প্রায় দশ হাজার পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদ উপহার পৌছে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন এর সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আলী আশরাফ।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পটুয়াখালী জেলার দুমকী-মির্জাগঞ্জ ও সদর উপজেলায় দশ হাজার পরিবারের কাছে এ ঈদ সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামীলীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা।

ঈদ উপহার ও খাদ্য সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে একটি শাড়ী, লুঙ্গি, পাঁচ কেজি চাল, তিন কেজি আলু ও একটি সাবান।

মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে পটুয়াখালী সদর, দুমকী ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার কর্মহীন, গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে এসব ত্রাণ ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী আশরাফের পাঠানো এসব খাদ্য সামগ্রী পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গ্রহণ করেন এনডিসি ইবনে আল জায়েদ, পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান।

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তিনটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য সামগ্রী গ্রহন করেন।

পটুয়াখালী সদর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান একই ভাবে সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এসব ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেন। পরে প্রতিটি ইউনিয়নে অসহায়দের মাঝে এসব ত্রাণের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভুইয়া শুক্রবার দিনভর শহরের ভ্যানচালক, রিকশা চালকদের মাঝে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।

ঈদের আগে শাড়ী লুঙ্গিসহ খাদ্র সামগ্রী পাওয়া এক হতদরিদ্র বলেন, গত দুই মাস ধরে অনেক কষ্ট করেছি। পাঁচ কেজি চাল আলু শাড়ী লুঙ্গি পেয়ে এখন মহা খুশী। স্যারের জন্য দোয়া করি।

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আলী আশরাফ বলেন, আমি অতীতেও যে কোন দুর্যোগে পটুয়াখালী সদর, দুমকী-মির্জাগঞ্জ উপজেলার কর্মহীন, গরীব, ও অসহায় মানুষের পাশে ছিলাম এখনো আছি, ভবিষ্যতেও ইনশাআল্লাহ থাকবো। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালীন সময়ে গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে আমরা অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছি।

এমআইপি/প্রিন্স