করোনায় সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৬৩ লাখেরও বেশি। এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ২৫০ জন মানুষের।
তবে আশার কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের জোন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে এরই মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ লাখ ২৯ হাজার ৫২৭ জন মানুষ। এবং দিন দিন এর সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলো দেশ মহামারীটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৮ জন, ব্রাজিলে ২ লাখ ২৩ হাজার ২৩৮ জন, রাশিয়ায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০২ জন, জার্মানিতে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০৯ জন, ইতালিতে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২ জন, স্পেনে ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন, তুরস্কে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯২১ জন, ইরানে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭ জন ও করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ৭৯ হাজার ৪০০ জন।
এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৮২১০ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ১৮০ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয় আছে যুক্তরাজ্যের নাম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৩৯ হাজার ৪৫২ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন।
ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৩, প্রাণহানি হয়েছে ৩১ হাজার ১৯৯ জনের। রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত ৪ লাখ ২৩ হাজার ২৮৬, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৩১। ইউরোপের দেশ স্পেনে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ ৯৩২, মারা গেছেন ২৭ হাজার ১২৭ জন। এছাড়া ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৫, মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৩০ জনের। ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৯৪৩ জন। এদিকে জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৯ জন। এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৮ হাজার ৫৬৩ জনের।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে ২ লাখ ৭ হাজার ১৯১ জন মানুষের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ হাজার ৮২৯ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৮৫ জন মানুষ। এছাড়াও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪৪৫। এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে ৭০৯ জনের প্রাণহানি হলো। আর মোট ১১ হাজার ১২০ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাসে মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র