রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

রায়পুরে পল্লীবিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে গ্রাহকের নাভিশ্বাস

বিশেষ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা কথিত শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলায় ৮৫ হাজার গ্রাহক। কিন্তু সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন ও বিল হচ্ছেনা। যার ফলে এই উপজেলার গ্রাহকেরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। হাজারো অভিযোগ থাকলে সঠিক কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করছেনা কর্তৃপক্ষ।

অজুহাতের চাদরে মুড়ে রাখছে গ্রাহকদের, আর এটাই যেন এই উপজেলার গ্রাহকদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে আর কত কাল এভাবে অজুহাতের চাদরে মুড়ে থাকবে।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘গড় বিলের’ হিসাব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক।

অভিযোগ উঠেছে, করোনাভাইরাস প্রাদুভাবের কারণে বাড়িতে বাড়িতে না গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে অফিসে বসেই প্রত্যেক গ্রাহকের গড় বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। কিন্তু এতে এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন হাজারো গ্রাহক।

সরকারের অগ্রাধিকার উদ্যোগ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ খাতের উত্তরণ এখন দৃশ্যত। লোডশেডিং, যান্ত্রিকত্রুটি, সিস্টেমলস, মিটারচুরি, সংযোগ ভোগান্তি ইত্যাদি নামের সমস্যাগুলির স্থান এখন যাদুঘরে। অথচ নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার গ্যাড়াকলে গ্রাহক ভোগাস্তি ও আর্থিক ক্ষতি আজও পর্যন্ত নিত্য সঙ্গী হয়ে আছে লক্ষ্মীপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হাজারো গ্রাহকেরা।বিল ভোগান্তির সত্যতা স্বীকার করে পরবর্তী মাসে তা ঠিক করে দেওয়ার কথা জানালেন কর্তৃপক্ষ। যদিও বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছেন না কোনো গ্রাহক।

রায়পুর পৌরশহরে এলাকার হুমায়ুন বলেন, ‘আমা এপ্রিল মাসের বিল এসেছে ৫৬২ টাকা, কিন্তু মে মাসে বাড়িতে না এসে বিল করা হয়েছে ১৫৬২ টাকা।বামনী গ্রামের নাসির বলেন, এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ৯০০ টাকা বেশি এসেছে,না এসেই মন গড়া বিল বানিয়েছে।

রায়পুর উপজেলার পৌরশহরে এলাকার বাসিন্দা তহুরা বেগম জানান, এপ্রিল মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৭৪৪ টাকা। কিন্তু মে মাসে বিল করা হয়েছে ১৯৭৪ টাকা। শুধু এই কজন নই পল্লী বিদ্যুত অফিসে গেলে পাওয়া যাবে হাজারো ভুক্তভোগীকে।যে তালিকা করতে হয়তো জনবলের প্রয়োজন হবে।শুধু তাই নই, হালকা বাতাস বা হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়লেই যেন বিদ্যুৎ ছুটি নেই।বিদ্যুৎ অফিসের কাছে কারণ জানতে চাইলেই বহুল প্রচলিত ডায়ালগ লাইনের কাজ অথবা তার চিড়ে গেছে, লাইন টিকছে না, মেরামতের কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পল্লীবিদ্যু সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আবু তাহের বলেন, গত মার্চমাস থেকে বিদ্যুৎ দাম বাড়িয়েছে সরকার,আর করোনার কারণে মিটার রিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রিডিং করতে পারেনি যার কারণে হয়তবা বিল গড়বিল হয়েছে।তবে যেসব গ্রাহকের বেশী বিল আসে ব্যাবহারের তুলনায় তারা আমাদের কাছে বললে সমন্বয় করে দিচ্ছি। আমরা চাইনা কোন গ্রাহক অসুবিধায় পড়ুক।সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু খুব দ্রুতই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমাধান করবো।

এমএস/প্রিন্স




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com