জেলায় গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপদাহে অস্থির জনজীবন। ঘরে বাইরে অসহ্য গরমে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মৃদু তাপ প্রবাহের প্রভাব পড়ছে সর্বত্র। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, ফুটপাতের ধারের দোকানি, সাধারণ পথচারীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে । হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।
প্রখর রোদের উত্তাপে লোকজন প্রয়োজন ছাড়া খুব কম ঘর থেকে বের হচ্ছে। রোদের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন।কেউ কেউ আবার ছাতা ব্যবহার করছে। দুপুরের দিকে শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই তীব্র দাবদাহে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঠান্ডা পানির চাহিদা বেড়েছে। ঠান্ডা পানির লেবুর শরবতসহ বিভিন্ন শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। প্রচন্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে কেউ কেউ আবার নদীতে গোসল করছে দলবেঁধে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ হয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ভোলায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ও তার আগের দিন রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি।
শহরের নতুন বাজার এলাকার অটো রিকশা চালক ইব্রাহিম ও মহাসিন বলেন, বারোটার পর থেকে শহরে লোকজন কমে যায়। তাই তাদের ভাড়া কম পাওয়া যায়। বিকেলের পর থেকে আবার বের হয় মানুষজন। গরমে রিকশা চালাতে কষ্ট হয় বলে জানান তারা।
গাজীপুর সড়কের জজ কোর্টের সামনে ঠান্ডা পানির লেবুর শরবত বিক্রেতা হাবলু বলেন, গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে তার শরবত বিক্রি বেড়েছে। দৈনিক ৫’শ থেকে ৬’শ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: কে এম শফিকুজ্জামান বাসস’কে বলেন, ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ডায়রিয়া রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে তা ব্যাপক আকারে নয়। জেলায় এখন পর্যন্ত হিট স্ট
কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তাই জনসাধারণ বাইরে বের হলে সাথে ছাতা ও স্যালাইন যুক্ত পানি রাখার পরামর্শ দেন তিনি। একই সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তীব্র গরমে করণীয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা হচ্ছে।