ম্যানিলায় সামাজিক ব্যবসা প্রোগ্রামে এসে শুনলাম ফ্রান্সে ১০০ বছর পর অলিম্পিক টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যখন অলিম্পিকের কাজটা পাওয়ার জন্য বিট করেছিলেন, যখন তারা ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কাউন্সিলের কাছে গিয়েছিল, ফ্রান্সের যখন আয়োজনের দায়িত্বটা দেয়া হয় তখন উনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারণে ফ্রান্সে অলিম্পিক আয়োজনের কাজটি পাওয়া সহজ হয়েছে। এটা যখন আমরা ফ্রান্সের লোকদের মুখে শুনি এবং আমরা যখন দেখি অলিম্পিকের মতো ইভেন্টের মূল থিম হবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্ভাবিত সামাজিক ব্যবসা, তখন খুব ভালো লাগে। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এসএমএক্স কনভেনশন সেন্টারে ১৪তম সামাজিক ব্যবসা দিবসের আয়োজনে উপস্থিত হয়ে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন শুনি পৃথিবীতে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০টি দেশে উনার ধারণাকে পুঁজি করে, ইউনূস সেন্টার বা গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান করে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। আজকে একটি ভিডিও দেখলাম চীনের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে একদল হতদরিদ্র গ্রামবাসী তাদের ভাষায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে এবং তারা বলছে- আপনি আবার কবে আসবেন। আজকে ফিলিপাইনের একজনের অভিজ্ঞতা শুনলাম, তারা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারছিলেন না। বাংলাদেশে এসে সামাজিক ব্যবসার মডেল অনুসরণ করে তাদের এখন ৬ লক্ষ গ্রাহক।
তিনি বলেন, আজকে যখন ব্রাজিল থেকে ২৩ ঘণ্টা জার্নি করে একজন ইয়ং এন্টারপ্রেনার বলেন, যে ড. ইউনূসের কারণে তার প্রতিষ্ঠান থেকে কত লোক উপকৃত হয়েছে, কত বড় হয়েছে-এগুলো শুনলে খুব ভালো লাগে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশে থাকতে সব সময় এতো বড় একজন মানুষ সম্পর্কে বদনাম, খারাপ কথা শুনতে খুব কষ্ট লাগে। আমাদের দেশে যারা সরকারে আছেন, তারা ড. ইউনূসের মতো মানুষকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে এবং নিজেদেরকে কত উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারতেন, এই জিনিসটা শুধু মনে হয়।