কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের পাশে গত ১৫ বছর ধরে ৩০০ একর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। বোরো ধান আবাদের মৌসুমে জমি তৈরিতে কৃষকদের ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও জলাবদ্ধতার কারণে এই জমিগুলো এখন কচুরিপানা ও আগাছায় ভরপুর বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ আকালিয়া গ্রামের সামনে এবং বাতাকান্দি বাজারের উত্তর পাশ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রাকৃতিক পথটি বালু দিয়ে ভরাট করার কারণে পানি আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উলুকান্দি গ্রামের পাশের বিলসহ অন্তত ১০টি গ্রামের ফসলি জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, একসময় এই জমিতে ১ বিঘায় ২০-৩০ মণ ধান উৎপাদন হতো। তবে এখন হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে, যার ফলে বোরো ধানের পাশাপাশি উঁচু জমিতে রবি ফসলও চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা অভিযোগ করেন, দক্ষিণ আকালিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বিলের পানি নদীতে প্রবাহিত হতো। কিন্তু সেটি মালিকানা দাবি করে বালু দিয়ে ভরাট করায় বিলের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। বলরামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও স্থানীয় কৃষকরা দাবি করেছেন, বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে ১০টি গ্রামের শত শত একর জমি পুনরায় চাষের আওতায় আসবে এবং কৃষকরা আবারও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিন বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।